Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের বিজয় সন্নিকটে -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের বিজয় সুনিশ্চিত। আমি আশাবাদী যে জনগণের বিজয় অতি সন্নিকটে। নিজের জেলায় আন্দোলনের ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ততার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার বয়স অনেক হয়েছে। তারপরেও আমি খুব আশাবাদী মানুষ। আমি আরো আশাবাদী হয়েছি গত তিনদিন আমার জেলাতে (ঠাকুরগাঁও) আমি পাঁচটি উপজেলায় সফর করেছি। আমি দেখছি মানুষের মধ্যে কি অভূতপূর্ব সাড়া। মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা শুধু যখনই শুরু হবে আন্দোলন, যখনই শুরু হবে সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ এবং তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে এই নিশ্চয়তা আমি দেখছি। আমি মনে করি জনগণের আন্দোলনের এ বিজয় নিশ্চিত।
তিনি বলেন, আসুন অতীতের যে আন্দোলনগুলোতে আমরা জয়লাভ করেছি সেই আন্দোলনগুলোর মতো করে একটা জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করে একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি- এই হোক আজকে আমাদের শপথ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কখনোই ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদের উঠে আসতে হবে। আমাকে জেগে উঠতে হবে, আমার আশপাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে যারা তরুণ যুবক আছেন তাদেরকে জাগাতে হবে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে-এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা অতিদ্রুত করতে হবে। যতদিন যাবে ততই বাংলাদেশ, জাতি সব বিনষ্টের পথে যাবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা আজকে এই ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদের নিষ্প্রেষণ করছে, নির্যাতন করছে তাদের যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাদের যদি পরাজিত করতে না পারি, তাহলে এই অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেজন্য আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য গড়ে তোলা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি একাত্মতা ও সমমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আছেন। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য দফতরগুলোতে, অন্যান্য বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশি ভালোবাসা মানুষগুলো চাকরিচ্যুত হয়েছে তারা মনের বল ফিরে পাবে, তারা শক্তি ফিরে পাবে এবং এই আশ্বাস যে, বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণের মাধ্যমে আবার ফিরে পায়, তাহলে তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করা হবে সম্মানের সাথেÑ এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদের আশান্বিত করে। আমরা বলতে চাই, আপনারা একা নন, আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো এবং জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।
২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির ১০ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে ‘চাকরিচ্যুতিদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।
ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েম্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী, ইয়াকুব মিয়া, আমির হোসেন, মিয়া হোসেন রানা, রবিউল ইসলাম রবি, আবদুল হালিম, আবু হানিফ খন্দকার, মামুনুর রহমান, আশরাফুল আলম, আকরাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ