Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বাণিজ্যমন্ত্রী-ইইউ প্রতিনিধি দলে বৈঠক বিজনেস কাউন্সিল গঠন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মবান্ধব পরিবেশ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের নিয়মাবলী, সুযোগ-সুবিধা এবং শুল্ক বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুবধার্থে বাংলাদেশের অবস্থানরত ৮টি ইউরোফিয়ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে একটি বিজনেস কাউন্সিল গঠন করা হবে। এতে বেসরকারি সেক্টরের প্রতিনিধিদের রাখার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। এ কাউন্সিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরার্মশ ও উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন পার্লামেন্ট সদস্য জিয়ান লামবার্টের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সব ধরনের সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকার ও মালিক পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশের শিল্প কারাখানা বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব। ইপিজেডসহ সকল কারখানায় শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রেতা গোষ্ঠীর সংগঠন অ্যাকোর্ড, অ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ইনেশিয়েটিভ প্রায় তিন হাজার আটশত ফ্যাক্টরি পরিদর্শ করেছে। ক্রুটিপূর্ণ ৩৭টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ৪২টির মধ্যে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ক্রুটিমুক্ত করা হচ্ছে। শ্রম পরিদপ্তরকে অধিদফতরে পরিণত করা হয়েছে, পদির্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। ক্রেতাদের সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপিসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ অস্ত্র ছাড়া সকল পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পাচ্ছে। গত ২০১০ সালে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন পার্লামেন্ট সদস্য জিয়ান লামবার্ট, রিচার্ড হাউইট, ইভান ইস্টিফেন্স, ড. সাজ্জাদ করিম এবং ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মেউডন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ