Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করব : গুতেরেস

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাতিসংঘের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে বিজয়ী করার পক্ষের প্রচারকারীদের মধ্যে হতাশা
ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মনোনীত আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করবেন তিনি। পর্তুগালের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই পদের জন্য মনোনীত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবনত বোধ করছেন তিনি। বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত, অধিকার হরণ, দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকারদের জন্য কাজ করার কথা বলেছেন গুতেরেস। মহাসচিব পদে গুতেরেসের মনোনয়ন বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত হলেও হতাশা রয়েছে জাতিসংঘের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে পাওয়ার জন্য প্রচার চালানোদের। জাতিসংঘ মহাসচিব পদে একজন দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে গুতেরেসকে মনোনীত করে। পাঁচ বছরের জন্য তার নিয়োগ চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব মনোনীত হওয়ার পর লিসবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আগামী বছরের শুরুর দিকে বান কি-মুনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নিরাপত্তা পরিষদে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর লিসবনে গুতেরেস সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমার এখন যে অনুভূতি হচ্ছে তা প্রকাশে আমার কাছে দুটি শব্দ আছে-কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবনত। শ্রদ্ধাবনত (যা আমি বোধ করছি) আমাদের সামনে যে বিপুল চ্যালেঞ্জ, আধুনিক বিশ্বের ভয়াবহ জটিলতা তা নিয়ে। তাছাড়া এটা সবচেয়ে অসহায়, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, অধিকার হরণ, দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকারদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন। বান কি-মুন আগেই উত্তরসূরি হিসেবে গুতেরেসকে চমৎকার পছন্দ বলে বর্ণনা করেছেন। পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা, বিশ্বের নানা বিষয় সম্পর্কে তার বিস্তারিত জ্ঞান এবং তার ধীশক্তি একটি কঠিন সময়ে জাতিসংঘকে নেতৃত্ব দিতে তাকে সক্ষম করে তুলবে, বলেন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল মেয়াদে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সোশালিস্ট পার্টির নেতা গুতেরেস। এরপর ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ সময় সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো দেশগুলোর শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থীদের আরও বেশি সহায়তা দিতে পশ্চিমা সমাজকে বার বার অনুরোধ করেন তিনি। মহাসচিব হিসেবে গুতেরেসকে জাতিসংঘের প্রধান কূটনীতিক ও শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’র দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাছাড়া বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক চাহিদার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, গোপনে ও প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখা এবং বিশাল একটি আমলাতন্ত্র পরিচালনা। মহাসচিব হিসেবে তার মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস একজন উচ্চ গুণসম্পন্ন প্রার্থী, যিনি অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত আছেন। তিনি যাতে এই কঠিন সময়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্যদের তাকে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন আনান। এই দায়িত্ব পালনে গুতেরেসের ব্যাপক যোগ্যতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করব : গুতেরেস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ