Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:১৩ পিএম

ভোলার লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সমবন্টনের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধার বড়ছেলে হানিফ সর্দার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভাতা আত্বসাতের অভিযোগে লালমোহন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ভোলাতে মামলা দায়ের করেছে ভাতা বঞ্চিত ৯জন ওয়ারিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা নজির আহাম্মদ সর্দারের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ হন ৪ পুত্র ও ২ কন্যা। বড় ছেলে হানিফ সর্দার বাবার মৃত্যুর পর তার সকল কাগজপত্র নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন। হানিফ সর্দার তার বাবার সকল ওয়ারিশকে সূকৌশলে বঞ্চিত করে মরনোত্তর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা আত্নসাত করিতেছে। হানিফ সর্দারের কৌশল বুঝতে পেরে পরিবারের অনান্য সদস্যরা গত ২৫/০৬/২০১৯ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ওয়ারিশগনকে সমবন্টন করে দেয়ার জন্য লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। তখন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রায় ২ বছর পর্যন্ত ভাতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন যেন না করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হয়ে গেলে ১নং আসামী হানিফ সর্দার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সহায়তায় সোনালী ব্যাংক থেকে জমাকৃত প্রায় ৪লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নেন।
এ ব্যাপারে বর্তামানে কর্মরত লালমোহন সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ রাশেদ মাহমুদ বলেন, মামলার কপি পেয়েছি। ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন আমি এই ব্রাঞ্চে ছিলাম না। যে গ্রাহকের নামে হিসাব খোলা থাকে তিনি যদি টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে চেক নিয়ে আসেন তাহলে ব্যাংক তাকে টাকা দিতে বাধ্য। ব্যাংক দেখে হিসাবে টাকা আছে কিনা, স্বাক্ষর মিল আছে কিনা। যেহেতু সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাই আমি ঘটনাটি জেনে লিখিত ভাবে আদালতে প্রেরণ করব।
লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মামুন হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের অভিযোগ তখন আমি লালমোহন উপজেলার দায়িত্বে ছিলাম না। আমি খরব নিয়ে জানতে পেরেছি এই হিসাবের নামে একটি ঋণও নেয়া হয়েছে সোনালী ব্যাংক থেকে। মামলার নথি পেয়েছি এবং আমাদের বক্তব্য আমরা আদালতে প্রেরণ করব।
১নং আসামী হানিফ সর্দার এ ব্যাপারে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক অংশীদারের টাকা সমবন্টন হারে আমি বন্টন করে দিয়েছি। কেন তারা মামলা করেছে তাহা বুঝতে পারছি না। আমি আদালতে এর জবাব দিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ