বাল্যবিয়ে : ভ্রাম্যমান আদালত দেখে পালালেন সবাই, দুজনকে জেল- জরিমানা

১২ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে চলছিল বউ সাজানোর কাজ। অন্যদিকে, অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা চলছিল। বর
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার পংতিরছা গ্রামে স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী কন্যাকে হত্যার দায়ে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান এবং ৬ সহযোগী স্বজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত রোববার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে পংতিরছা গ্রামের লিপা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের জাকির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই বছরের মধ্যে লিপার ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। দীর্ঘ দিন ধরে জাকির ও লিপার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে লিপাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জাকির। মায়ের হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় আড়াই বছর বয়সী কন্যা জ্যোতিকেও হত্যা করে জাকির। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাহমিনা, স্বপন, জাহাঙ্গীর, হাসান, আমিনুল ও পারভেজ।
এরপর তারা থানায় জানায়, বাড়িতে ডাকাত হামলা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। জাকির গা ঢাকা দেওয়ায় লিপার স্বজনদের সন্দেহ হয়- জাকির নিজেই লিপা ও জ্যোতিকে হত্যা করে থাকতে পারেন। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন লিপার বাবা আবু হানিফ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।