Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাত ডাক্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক

আজিমপুর মাতৃসদনে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে সোয়া কোটি টাকা আত্নসাতের মামলায় ৭ ডাক্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যেই চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানান দুদক সচিব ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। চার্জশিটে রাজধানীর আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৭ ডাক্তারের নামও রয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব জানান,আজিমপুরের মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৭ চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অতিরিক্ত দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় কমিশন সভায় চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। তিনি বলেন, এই চার্জশিট ছাড়াও আজিমপুর মাতৃসদনে কেনাকাটায় দুর্নীতির আরও ৩টি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, হাসপাতাণাচন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইশরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদনের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, আজিমপুর মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা, দিলারা আকতার, ডা. নাজরীনা বেগম এবং সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া চার্জশিটভুক্ত তিন ঠিকাদার হলেন- মনার্ক এস্টাবলিশমেন্টের মালিক মো. ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্ণারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল) এবং সান্ত¦না ট্রেডার্সের মালিক নিজামুর রহমান চৌধুরী।
অনুমোদিত চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সেখানে বর্তমান বাজারদর আমলে না নিযে গঠিত বাজার কমিটির মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল কিনেছেন। এর মাধ্যমে তারা মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পৃথক ৪টি মামলা করে দুদক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ