Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টাকার লোভে বন্ধুকে খুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর মিরপুর থানার লাভ রোড এলাকায় একটি ড্রামে পাওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। ওই যুবককে শনাক্ত এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জুয়েল রানা (২৯)। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি মার্লবোরো সিগারেট কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে গাবতলী-মিরপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। থাকতেন গাবতলী এলাকার একটি ভাড়া বাসায়।

এদিকে, জুয়েল রানাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাকির হোসেন নামে একজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গতকাল মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই মিরপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে জুয়েলের গায়ে থাকা গেঞ্জিতে লেখা ‘সাফল্যের পথে একসাথে’র সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়।
গতকাল বিকেলে মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি এএসএম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি ম্যান জুয়েল ও মিরাজ দুই বন্ধু। মিরাজের টাকার প্রয়োজন, সেই লোভে বন্ধু জুয়েলের ডেলিভারির টাকা আত্মসাতের ফাঁদ পাতে সে। মিরাজ জানতো প্রতিদিন জুয়েলের কাছে ডেলিভারির প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা থাকতো। সেই টাকার জন্যই মূলত হত্যা করা হয় তাকে। মিরাজ নিজে এ ঘটনা ঘটাতে সাহস না পাওয়ায় সাইফুল সোহাগ ও রাসেলকে সঙ্গে নেয়। এক পর্যায়ে জুয়েলের সঙ্গে তিন আসামি মিলে তাদেরই প্রতিষ্ঠানের কাভার্ডভ্যানে উঠায়। এক পর্যায়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ধস্তাধস্তি শুরু করলে তাদের সঙ্গে থাকা রশি দিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করে। পরে হত্যা নিশ্চিত করার পর লাশের পরিচয় যেন শনাক্ত না হয় সেজন্য ড্রামে ভরে মিরপুরের একটি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মূলত জুয়েলের কাছ থেকে আদায় করা টাকা যেন ফেরত না দিতে হয় সেজন্য হত্যা করা হয়। হত্যার পর আসামিরা মিরপুরের দুই নম্বর সেকশনের লাভ রোডের হাউজিংয়ে স্টেটের সরকারি অফিসের বিপরীত লাশ পাশে রেখে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে লাশ উদ্ধারের পর কোনও ক্লু পাচ্ছিলো না পুলিশ। মূলত পরনের গেঞ্জিতে থাকা একটি লেখার ভিত্তিতেই হত্যাকান্ডের শিকার জুয়েলের পরিচয় নিশ্চিত করা পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মিরপুরের লাভ রোডে একটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ