মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত এবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধেক ভ্যাকসিন রফতানি শুরু করবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়ার মন্তব্যের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এমনটাই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভ্যাকসিন রফতানি প্রসঙ্গে মান্দাভিয়া বলেন, ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ প্রকল্পের আওতায় এবং কোভ্যাক্সের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণে টিকা রফতানি শুরু করবে ভারত। তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের ‘বাসুদেব কুটুম্বকম’ (সংস্কৃত এ শব্দের অর্থ পৃথিবী এক পরিবার) এর নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের জন্য বিশ্বের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পূরণে এ রফতানি শুরু হবে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী দেশ ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ভারত এখন পর্যন্ত ৯০টিরও বেশি দেশে ৬ দশমিক ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রফতানি করেছে। এছাড়া চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৪ কোটিরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের। এখন পর্যন্ত দেশটির ৬১ শতাংশ মানুষ অন্তত ১ ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরো ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ফলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেয়াও বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে। সেই টিকার পাশাপাশি টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসছে এখন। সেই টিকা দিয়েই এখন আবার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছিলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনও দ্রুত বাড়ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারব। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।