Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চলাচল অযোগ্য খানাখন্দে বেহাল

মুকসুদপুরের টেংরাখোলা-জলিরপাড় জিসি সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে করুণ দশা : চলাচলে চরম ভোগান্তি

চৌধুরী হাসান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় রয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ টেংরাখোলা-জলিরপাড় জিসি সড়ক। বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং ভেঙে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এ এলাকার মানুষ। সড়কটি জরুরিভিত্তিতে সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসী জানান, মুকসুদপুর উপজেলা সদরে যাতায়াতে টেংরাখোলা-জলিরপাড় সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়, চামটা, মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর, জলিরপাড়, ননীক্ষীর, মহিষতলী, উজানি, খাঞ্জাপুর, বেদগ্রাম, পাটকেলবাড়ি, নওহাটা, লওখন্ডা, ভুনসী ও বনগ্রামসহ অত্র অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। এছাড়া মুকসুদপুর উপজেলা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে যেতে ব্যস্ততম ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ব্যবহার না করে বেশীর ভাগ মানুষ সহজে এবং স্বল্প সময়ে এসড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। এলাকাবাসী তাদের দুর্দশার কথা জানিয়ে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেখভাল ও সংস্কারের অভাবে প্রায় অর্ধযুগ ধরে বেহাল দশায় রয়েছে গুরুত্ত্ব পূর্ণ এ সড়কটি। এতে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাসাবাড়ি থেকে বিভিন্ন স্থানে যেতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন তারা। অফিস আদালত, দোকান পাঠ, ছেলে-মেয়েদের স্কুল কলেজ, অসুস্থ্য মানুষের ডাক্তার কবিরাজের কাছে যেতে চরম সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। সড়কটিতে সাধারণত মালবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, ইঞ্জিন চালিত নছিমন, মোটরবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবান চলাচল করে থাকে। বর্তমান সড়কটি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চলাচলের সময় প্রতিটি যানবাহনের যাত্রীরা ঝাঁকুনিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে বলে জানান তারা। যানবাহন চালকরা জানান, গাড়ির ইঞ্জিন ও চ্যাসিজের প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। যা আয় করি গাড়ির পেছনে তার থেকে বেশি ব্যায় করতে হচ্ছে। একারণে সংসার চালাতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা জানান সড়কটি দীর্ঘ দিনেও মেরামত করা হচ্ছেনা। এভাবে পড়ে থাকতে থাকতে সড়কটির বুক থেকে ইটের খোয়া সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তে পরিনত হয়েছে। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপলগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। দরপত্র আহবান প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কের কাজটি শুরু করতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ