Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মধ্যপ্রাচ্যে জার্মানির নীতি ও বাণিজ্যের সংঘাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:০৭ পিএম

শুরু থেকেই ইউরোপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে জার্মানি। তাদের নেতৃত্বেই দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়েছে ইইউ। তবে ইউরোপের বাইরে জার্মানির পররাষ্ট্রনীতি স্পষ্টতই মূল্যবোধভিত্তিক। কিন্তু যখন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সংঘাতের সময় আসে তখন কী হয়?

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের প্রথম পাতায় পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার কয়েকটি নীতিমালার উল্লেখ আছে। এর মধ্যে আছে, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রচার, আর মাল্টিলেটারালিজম বা বহুপাক্ষিকতার প্রতিশ্রুতি।’ এর কয়েক লাইন পরেই লেখা আছে ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে জার্মানি তার কোম্পানিগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এক দশক আগে মধ্যপ্রাচ্যে যখন আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল তখন স্বাভাবিকভাবেই জার্মানি গণবিক্ষোভ ও গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আকাঙ্খাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জার্মানির রাজনীতিবিদদের আরব ভাষাভাষী দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রায়ই কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু একই সময়ে মিশর ও সউদী আরবের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছে জার্মানি। সামরিক অস্ত্র বিক্রির সময় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের প্রায়ই চোখ বন্ধ করে রাখতে দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন সমালোচকরা।

চলতি বছরের শুরুতে জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংসদকে জানায়, ২০২০ সালে ইয়েমেন ও লিবিয়া সংকটে যুক্ত থাকা মিশর, কাতার, আরব আমিরাত, কুয়েত, জর্ডান, বাহরাইন ও তুরস্কের কাছে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউরোর বা ১১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

জার্মান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ক্যার্স্টিন ম্যুলার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেন যুদ্ধে বেশ ভালোভাবে জড়িত থাকলেও তারা এখনও জার্মানি ও ইউরোপ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যে জার্মানির সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার বলে জানান ম্যুলার। এমনকি দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বজায় রাখে বলেও জানান তিনি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ