Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

নেছারাবাদ(পিরোজপুর) প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম

নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে রানি বেগম(২২) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতনের শিকাড় হয়ে দুইদিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকাড় হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা বাবা মা তাকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই গৃহবধূর পাষন্ড স্বামীর নাম খাইরুল মৃধা। রানি বেগম একই গ্রামের লাহু মৃধার মেয়ে। তিনি পেশায় একজন সামান্য ট্রাক্টর চালক। এ ব্যাপারে রানীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মৌখিক অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তার মা লাইজু বেগম জানান।

গৃহবধূর রানির মা লাইজু বেগম অভিযোগ করেন, তারা খুবই অভাবি পরিবার। তার স্বামী একজন সামন্য ট্রাক্টর চালক। গত পাঁচ বছর পূর্বে একই গ্রামের খাইরুল মৃধা তার মেয়েকে ভালবেসে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই মাসের মাথায় তারে মেয়েকে জামাই খাইরুল নানান কথায় ভিবিন্নভাবে মেয়ে শারিরীরভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস ব্যবস্থা হয়েছে। এভাবে বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় মেয়ের গর্ভে একটি কণ্যা সন্তান আসলে জামাতা খাইরুল তার মেয়েকে নির্যাতনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়েকে তারা নিজেদের বাড়ীতে রাখে।

হাসপাতালের বেডে ভর্তি গৃহবধূ রানি স্বামীর লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে অভিযোগ করে বলেন, খাইরুল তাকে গত পাঁচ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করে। প্রথমে রানি তাকে পছন্দ করেনি। পরে তাকে বিয়ের জন্য খাইরুল বিষ পর্যন্ত খেয়ে মৃত্যু শয্যায় ছিল। তারপরও সে আমার পিছ ছাড়েনি। পরে খাইরুলের প্রতি মায়ায় পড়ে তাকে বিবাহ করি। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় আমার গর্ভে সন্তান আসায় সে আমাকে মারধর শুরু করে। বাচ্চা নেওয়ার অপরাধে আমার উপর শুরু হয় স্বামী শাশুরির মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন। রানি বেগম বলেন একসময় যে খাইরুল আমাকে বিয়ের জন্য মরতে বসে ছিল। আজ সেই খাইরুল আমাকে চিরতরে মেরে ফেলার জন্য তিলে তিলে নির্যাতন করে যাচ্ছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই গৃহবধূ।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত খাইরুল স্ত্রী নির্যাতনের কথা মুখে স্বীকার করে বলেন, সে আমার ও আমার সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করে। তাই তাকে মেরেছি। ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির পরিবার খুবই গরীব। শুনেছি স্বামী প্রায়ই তাকে মারধর করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্যাতন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ