Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কিশোরীকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:১৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে ওই কিশোরীর (১৪) পড়ালেখার ব্যয়ভারের দায়িত্ব নিয়ে তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহাসীন। শনিবার বেলা ৩টার দিকে বিয়ের আয়োজন থেকে ওই কিশোরীকে বিদ্যালয়ে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। কিশোরীর বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণেই তাকে অসময়ে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। বিয়ের আয়োজনে পুলিশের উপস্থিতি জেনে বর পক্ষ আর আসেনি।

চুয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহাসীন জানান, স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট মানি খন্দকারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলার এক যুবকের বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষকসহ আমরা বেলা ৩টার দিকে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হই। আমরা মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কথা জানিয়ে ওই কিশোরীর পড়ালেখা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন। তখন আমরা তার পড়াশোনার যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণ করি। তাৎক্ষণিকভাবেই ওই কিশোরীর দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করে দিই। এছাড়াও তার যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। পরে সেখানে উপস্থিত সবাই মিষ্টিমুখ করেন।

তিনি আরো বলেন, শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে ওই কিশোরীর নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল তার পরিবার। আমরা তাকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে আরেকটি নতুন জীবন শুরু করে দিলাম।

এসময় স্থানীয় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নু, মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট মানি খন্দকার ও চুয়াডাঙ্গা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ