Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি এমপি খালেদা জারার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪০ পিএম

দুই বছর কারাবাসের পর ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও প্যালেস্টিনিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য খালেদা জারারকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। গতকাল রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছে সালেম চেক পয়েন্টে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের নিজ বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনি বামধারার রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) দলীয় এই রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এর মাত্র আট মাস আগেই বিচার বা অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিক আটকাদেশের অধীনে ২০ মাস বন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
গত জুলাইয়ে তার দুই মেয়ের একজন ৩১ বছর বয়সী সুহা শারীরিক জটিলতায় ভুগে রামাল্লায় মারা যান। ওই সময় মেয়ের জানাযায় অংশ নিতে খালিদাকে মুক্তি দিতে রাজনীতিকেরা আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করে।
মুক্তি পেয়েই রবিবার রামাল্লায় মেয়ের কবরে জানান খালিদা জারার। সেখানে তার দলের অনেক নেতা হাজির হন। আরো ছিলেন রামাল্লার গভর্নর, সাংবাদিকসহ অনেকে।
মেয়ের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে খালিদা বলেন, তারা আমাকে প্রিয় কন্যার জানাযায় অংশ নিতে এবং তার কপালে চুমু দিতে বাধা দিয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের রাতে শেষবার সুহাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম।
ফিলিস্তিনের চার শতাধিক সংগঠন ইসরায়েলের চোখে বেআইনি। এর মধ্যে শাসক দল ফাতাহ পার্টি ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দখলদারির বিরুদ্ধে স্পষ্টভাষী স্বভাব ও রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্য খালিদা জারার বরাবরই ইসরায়েলের শাসকদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।
গত ছয় বছরের বেশির ভাগ সময় তিনি জেলের ভেতরই কাটিয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনিক আটকে ছিলেন। ‘গোপন তথ্যের’ ভিত্তির কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই আটকের এ নীতি ইসরায়েলে অনুমোদিত।
এর আগে ২০১৫ সালেও ‘বেআইনি সংগঠনের সদস্য’ হওয়ার একই অভিযোগ তাকে ১৫ মাস আটক রাখা হয়।
১৯৮৮ সাল থেকে ইসরায়েল খালিদার ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। এর মাঝে শুধু একবার তিন সপ্তাহের জন্য জর্ডানের আম্মানে চিকিৎসা নিতে যান তিনি।
২০০৬ সালে আইন পরিষদে পিএফএলপি’র পক্ষ থেকে নির্বাচিত হন খালিদা জারার। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম অনুসরণের জন্য ফিলিস্তিন জাতীয় কমিটিতেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জারার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ