Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বার্থ ও আইন না মানাদের পক্ষে ওকালতি নয়

এটকো প্রতিনিধিদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দেশের গণমাধ্যম শিল্পের সবার স্বার্থে আমরা আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কাজ করছি। সুতরাং দেশ ও সবার স্বার্থের বিপক্ষে কেউ অবস্থান গ্রহণ করবেন বা তাদের পক্ষে কেউ ওকালতি করবেন এটি কখনো কাম্য নয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাদের বৈঠক শেষে একথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, ডিবিসি-২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, দেশ টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান, ডিবিসি-২৪ চ্যানেলের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী দেশের সকল গণমাধ্যম, শিল্পী-কলাকুশলীকে এ আইনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য সকল পক্ষের সাথে দুই বছর আগে থেকে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে এবং আগস্ট মাসের বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা এই আইন কার্যকর করব। কিন্তু এটি নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়েছে। আমি আশা করব এই বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে তারা বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সাহস না জোগালে আমরা এ কাজগুলো কখনো করতে পারতাম না। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, বাংলাদেশে কোনো চ্যানেল সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয়নি, বন্ধ করতেও বলা হয়নি।
ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো ভালো অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে এবং অনেকেই করে। যে সমস্ত বিদেশি চ্যানেল আমাদের আইনকে তোয়াক্কা করে না, আমাদের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙ্গায় সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। অবশ্যই সব চ্যানেলের জন্যই আমাদের দ্বার উন্মুক্ত। কিন্তু আইন মেনে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সেই চ্যানেল সম্প্রচার হতে হবে। বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশক ও ক্যাবল অপারেটরদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যরাও যদি এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।
মন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটরবৃন্দসহ সবপক্ষকে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি পয়লা নভেম্বর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমকে তারা ডিজিটালাইজ করবে। আমি আশা করব এই সময়সীমা সবাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। আমি আশা করব সবাই দেশের স্বার্থ এবং আইন মানাকে তুলে ধরবেন।
তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমি দেশের সকল জেলার ডেপুটি কমিশনারদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছি, ক্লিনফিড আইন বাস্তবায়নে সরকার প্রস্তুত আছে। বৈঠকে এটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ক্লিনফিডের বিষয়টি আমাদের প্রাণের দাবি। ২০০৬ সালে বাস্তবায়নের জন্য আইন করা হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। সবাইকে চিন্তা করতে হবে দেশের জন্য ভালো কোনটি। সারা পৃথিবীতে ক্লিনফিডের বিষয়টি রয়েছে। এর ফলে প্রচুর অর্থ দেশ থেকে চলে গেছে। এখন শুধু টেলিভিশন মালিকরা লাভবান হবে না, পুরো দেশ লাভবান হবে।
ডিবিসি-২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের ওপর নির্দেশ ছিল যে সব চ্যানেলের ক্লিনফিড আছে, সেগুলো চলবে। কিন্তু সব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে তারা বিদেশের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ