পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা বাফার স্টক গুদামে স্থান সংকুলানের অভাবে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার। গত ৪ মাস ধরে ওইসব সার ওভাবে রোদে-বৃষ্টিতে পড়ে থেকে গুণগত মান হারাচ্ছে। এ অবস্থায় বস্তার ভেতরে জমাট বেঁধে যাওয়া ওইসব সার হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়া করে রি-প্যাকিং করে তা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। জমাট বাঁধা সার নিতে কৃষকদের আপত্তি থাকায় ডিলাররা ওইসব সার নিতে আগ্রহী না হওয়ায় বাফার স্টক কর্মকর্তাদের সাথে তাদের প্রায়ই ঝসড়া-বিবাদ হয়।
গাইবান্ধা বাফার স্টক সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসির একটি সার গুদামকে বাফার স্টকের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গুদামটির ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২ হাজার মে. টন। ঠাসাঠাসি করে এ গুদামে সর্বোচ্চ ৪ হাজার মে. টন সার রাখা যায়। কিন্তু বোরো মৌসুমে এখানে ১৪ হাজার মে. টন পর্যন্ত সার মজুদ থাকে। এ অবস্থায় বিকল্প কোনো গুদাম না থাকায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে গুদাম চত্বরে খোলা আকাশের নিচে সার রাখতে হয়। বাফার স্টকে ৭ হাজার ৭১ মে. টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার মে. টন গুদাম চত্বরে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া সারের মান ভালো এবং এগুলো সহজেই জমাট বাঁধে না। সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার থেকে আমদানি করা সারেরও মান যথেষ্ট ভালো। ২/১ বছরেও এগুলো জমাট বাঁধে না। কিন্তু চীন থেকে আমদানিকৃত ইউরিয়া সার অল্পদিনের মধ্যেই জমাট বেঁধে যায়। এসব জমাট বাঁধা সার কৃষকরা নিতে চায় না। এ কারণে ডিলাররাও এসব সার উত্তোলন করতে চান না। এ নিয়ে স্থানীয় বাফার স্টক কর্তৃপক্ষের সাথে ডিলারদের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদের ঘটনা ঘটে।
কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের গাইবান্ধা উপ-পরিচালক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, গাইবান্ধা জেলায় ১১১ জন সার ডিলার রয়েছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় কৃষকদের মধ্যে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ইউনিয়নেই ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও একাধিক ডিলারও রয়েছে।
বাংলাদেশ সার ব্যবসায়ী সমিতি গাইবান্ধা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদেব চৌধুরী জানান, চীন থেকে আমদানিকৃত সার নিয়ে তারা বিপাকে পড়েন। কৃষকরা জমাট বাঁধার কারণে এ সার নিতে চায় না। অনেক ডিলারের নিজস্ব গোডাউনে জমাট বাঁধা সার পড়ে থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে বিসিআইসির কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আপত্তির কথা একাধিকবার তারা জানিয়েছেন। এমনকি তারা ধর্মঘটও করেছেন। তারপরও চীন থেকে সার আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, চীন থেকে আমদানিকৃত সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় সব সারই প্রায় জমাট বেঁধে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।