Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

দেশের নব-জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবির আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলার নব-জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার নব-জাতীয়করণকৃত সকল শিক্ষকগণের টাইমস্কেল, উন্নীতস্কেল, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে শিক্ষকগণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ফতেখাঁ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ বদিউল কারেমিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের পহেলা জানুয়ারি সকল রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের চাকরিও বিধি মোতাবেক জাতীয়করণ করা হয়। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রানালয় ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর অধিগ্রহণকৃত বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণের তালিকাসহ পদ-পদবি উল্লেখ করে আরো একটি পরিপত্র জারি করেন। পরে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি প্রাথথিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণের সরকারি বেতনস্কেল অনুযায়ী আর্থিক প্রাপ্যতা প্রদান প্রসঙ্গে একটি পরিপত্র জারি করেন। একই সালের ৯ মার্চ অপর একটি পরিপত্রে জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকগণকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নিতকরণ করা হয় এবং সেই অনুপাতে বেতনস্কেল প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত/আত্তিকৃত শিক্ষকগণের চাকরিকাল গণনা করে বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতো কিছুর পরেও আমরা বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছিনা। উপরোক্ত পরিপত্র, নির্দেশনা, প্রজ্ঞাপন, গেজেট ইত্যাদি থাকা সত্বেও আমরা নব-জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণ বকেয়া বেতন-ভাতা তেকে বঞ্চিত। তাই অতিদ্রুত বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনে নব-জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আনিছুর রহমান, আজাহার আলী, যোগেন্দ্র নাথ বর্মন, আলতাব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৫/১৬ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষকগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ