Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওষুধ শিল্পে কর অবকাশ আরো ১০ বছর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশ যদি ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদন করতে পারে, তবে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) রফতানি আয় করা সম্ভব। যা বর্তমানে আছে ৩০০ কোটি টাকা। দেশীয় ওষুধ শিল্পের প্রসারে সুখবর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল উৎপাদন করে ওষুধ রফতানি করলে এমন প্রতিষ্ঠানকে আরও ১০ বছর কর অবকাশ সুবিধা বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ খাতে ২০২২ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেয়া আছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যমান সুবিধা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে এনবিআর বলেছে। বর্তমানে অন্য দেশে থেকে পেটেন্ট (ফর্মুলা) নিয়ে এসে বাংলাদেশ যে ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে, তার কাঁচামালও আসছে বিদেশ থেকে। বাংলাদেশে ওষুধের কাঁচামালের ৮৫ শতাংশ আমদানিনির্ভর।
বাংলাদেশ যদি ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদন করতে পারে, তবে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) রফতানি আয় করা সম্ভব। যা বর্তমানে আছে ৩০০ কোটি টাকা। এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রফতানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেশীয় ওষুধশিল্পের প্রসার, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, ওষুধের মান উন্নয়নে গবেষণা করা এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেন বাংলাদেশেই উৎপাদন করা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০০৮ সালে দেশে একটি ওষুধশিল্প পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। পোশাকি ভাষায় এই পার্কের নাম ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট’ বা এপিআই নামে পরিচিতি। যেখানে ৪২টি ওষুধ কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এত বছর পরও এ পার্কের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আ ব ম ফারুক বলেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলো এপিআই-এর অবকাঠামো ঠিকমতো তৈরি করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর বাস্তবায়ন দ্রুত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এপিআই হলে ওষুধশিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতা কমবে। শুধু তা-ই নয়, কাঁচামাল রফতানি করা সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, সময়মতো এপিআই পার্ক না হওয়াটাই ওষুধশিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কাঁচামালের সিংহভাগ যাতে দেশেই উৎপাদন হয় সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ শিল্পে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই খুবই কম। প্রচুর এফডিআই আনতে হবে।
এনবিআর বলেছে, কর সুবিধা পেতে হলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর বিধি অনুসারে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা হবে এবং ওই বছরের কর সুবিধা বাতিল করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওষুধ শিল্প

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ