Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ আরএসএস প্রধানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৭ পিএম

ভারতের ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি’র অভিভাবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত ধর্মের দিক থেকে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি নীতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভারতে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

শুক্রবার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সংগঠনের বাৎসরিক কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মোহন ভাগবত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসরাইলের কনসাল জেনারেল কোবি শোশানি। সেখানে ফের মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে মোহন ভাগবত বলেন, আগামী দিনে এই জনবিন্যাসের তারতম্যের জেরে অনেক সমস্যা হতে পারে। তার দাবি, জনবিন্যাসে বড়সর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। জনবিন্যাসের সমতাটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পপুলেশন পলিসি তৈরির দাবি ফের তুলেছেন তিনি। সুষ্ঠু পরিবার পরিকল্পনার উপরেও জোর দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।

তালেবান সম্পর্কে, ভাগবত বলেছিলেন যে, তারা ‘পরিবর্তনের দাবি করে কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা আগের মতোই আছে।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের নতুন শাসনের প্রতি দেশটির সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ইসলামের নামে উগ্র ধর্মান্ধতা, অত্যাচার এবং সন্ত্রাসের প্রতি তাদের প্রবণতা প্রত্যেককে আতঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। এখন, চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক তালেবানদের সাথে ‘অপবিত্র’ জোটবদ্ধ হয়েছে।

আরএসএস কর্তৃক প্রকাশিত ভাগবতের লিখিত ভাষণে ২০১১ সালের আদমশুমারির উদ্ধৃতি দেয়া হয়। যাতে বলা হয়েছে যে, ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ ধর্মের জনসংখ্যা ১৯৫২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৮৮ শতাংশ থেকে ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। সেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি এবং এটি বাংলাদেশ থেকে অবিরাম অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত দেয়।

আরএসএস প্রধান জানিয়েছেন, এনিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। তবে এবার এনিয়ে জোরালো আলোচনা করা দরকার। আগামী ৫০ বছরের জন্য একটা শক্তপোক্ত জনসংখ্যা পলিসি তৈরি করা খুব দরকার। ২০১৫ সালে সঙ্ঘের একটি প্রস্তাবকেও ফের সামনে আনেন তিনি। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৮ সালেও তিনি এনিয়ে জোরালো আওয়াজ তুলেছিলেন। জনসংখ্যার সমতা আনার জন্য একটি আইন আনা দরকার বলেও মতামত দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্ঘ প্রধানের দাবি, এই পলিসি আনা হলে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা যাবে। জোর করে ধর্মান্তরকরণ আটকানো যাবে। প্রাকৃতিক সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রেও সকলের সমান অধিকার থাকবে।

২০০৪ সালেও অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী মণ্ডলেও এই অসম জনবিন্যাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সঙ্ঘ কর্তারা। সেই সময় ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যানকে সামনে এনে সঙ্ঘ কর্তারা হিন্দু সহ অন্যান্য কমিউনিটির সংখ্যাতে কী পরিবর্তন হয়েছে তা জানিয়েছিলেন। তথাকথিত অবৈধ অনুপ্রবেশের জেরে কীভাবে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের সংখ্যায় পরিবর্তন হচ্ছে সেকথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেই সময় বলা হয়েছিল, এক দশকে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ভারতের ১১টি রাজ্যে ও মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৯টি রাজ্যে। সূত্র: টিওআই।



 

Show all comments
  • jack ali ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৯:২৬ পিএম says : 0
    ও আল্লাহ বর্বর বিজেপি ও আর এস এস থেকে আমাদের মুসলিমদেরকে বাঁচাও এবং দলিত সম্প্রদায় কে ওদের নোংরা হাত থেকে বাঁচাও ও আল্লাহ তুমি আমাদেরকে আবার ইন্ডিয়ার শাসনভার দিয়ে দাও তাহলে আমরা কোরআন দিয়ে শাসন করব তাহলে ইন্ডিয়াতে কোন ধরনের অন্যায় হবে না
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩০ পিএম says : 0
    তোমরা হচ্ছ উগ্র ধর্মান্ধতা, অত্যাচার এবং সন্ত্রাসের আসল প্রতীক......নবী সাঃ ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন যে সত্যি মিথ্যা হয়ে যাবে মিথ্যা সত্যি হয়ে যাবে এখন তাই হয়েছে যারা সন্ত্রাস করে তাদেরকে বলা হয় সন্ত্রাসের শিকার আর যারা সন্ত্রাসের শিকার হয় তাদেরকে বলা হয় তারা সন্ত্রাসী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ