Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের নির্দেশে বিরোধী নেতাদের সাজা দেয়ার চক্রান্ত চলছে : ড. মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
সরকারের নির্দেশে বিরোধী নেতাদের মামলা দ্রুত শেষ করে সাজা দেয়ার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পারছি, নেতৃবৃন্দের মামলাগুলো যত দ্রুত শেষ করার জন্য সরকারের নির্দেশে নিয়মবহির্ভূতভাবে যেখানে একটি মামলার একদিনের পর একমাস পরে সাধারণভাবে তারিখ পড়ে। সেখানে প্রতিদিন মামলার তারিখ ফেলিয়ে আজকে মামলাগুলো শেষ করে আমাদেরকে সাজা দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, যে কোনো দেশে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের বিরুদ্ধ শক্তিকে দাবিয়ে রাখার জন্য এভাবে নির্যাতন-জুলুম করে। শেখ হাসিনা আপনিও তাই করছেন। আপনি নিজেকে যে গণতান্ত্রিক নেত্রী দাবি করতেন, আমরা এখানে বলতে চাই, আপনি সেই গণতান্ত্রিক নেত্রীর দাবিদার নন, আপনি আজকে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে খবর আসছে, সরকার পরিকল্পনা করছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে সকল সিনিয়র নেতাকে মিথ্যা মামলায় শাস্তি দিয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে এই দেশে তারা আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মতো একটি নির্বাচনের প্রহসনের পুনরাবৃত্তি করবে। সেজন্য আজকে এই সরকার মামলা-মোকদ্দমা চালাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিন সাক্ষী নেয়া হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধের মামলাগুলোর।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগ প্রধান ভয় পান। কেন ভয় পান? কারণ এই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায়। আজকে শুধু তারা আমাদেরই ভয় পায় না, এদেশের জনগণকে ভয় পাচ্ছে। বিরোধীদের নিপীড়ন-নির্যাতন করে তারা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতায় টিকে থাকছে। জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, আমাদের শপথ নিতে হবে, শুধু ছোট কারাগার থেকে দলের নেতৃবৃন্দকে মুক্ত নয়, সারা দেশের জনগণকে বৃহত্তর কারাগার থেকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংগঠিত হতে হবে।
মহানগর আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, রহুল কবির রিজভী ও হাবিব উন নবী সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে নয়া পল্টনের মহানগর কার্যালয়ে একটা প্রস্তুতি মিটিং ছিল, সেখান থেকে কয়েকজন গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। আজকে (বৃহস্পতিবার)  বিএনপি অফিসের কাছে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আয়োজনে বিজয়া শুভেচ্ছার একটা অনুষ্ঠান ছিল, সেখান থেকেও ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেছে। গতকাল আমাদের মীরপুরে শামীম পারভেজকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের নমুনা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মীর সরাফত আলী সপু, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, যুবদলের মীর নেওয়াজ আলী, উলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, মহানগরের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সরকারের নির্দেশে বিরোধী নেতাদের সাজা দেয়ার চক্রান্ত চলছে : ড. মোশাররফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ