Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানবপাচার আইনে অপপ্রয়োগ থেকে এজেন্সিগুলো মুক্তি চায়

গোলটেবিল আলোচনায় বায়রার নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১৮ পিএম

মানবপাচার আইনের অপপ্রয়োগ থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা মুক্তি চায়। অভিবাসন আইন ২০১৩ থাকার পরেও মানবপাচার আইনের অপব্যবহার করে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের নানাভাবে হয়রানি, মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর ফলে জনশক্তি রফতানিকারকরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা সরকারের সব ধরণের নিয়ম মেনে বৈধভাবে বিদেশে কর্মী পাঠানোর পরে কোন সমস্যা হলেই মানবপাচার আইন ২০১২ মামলা দেয়া হয়। মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। আজ মঙ্গলবার বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে রিক্রুটিং এজেন্সি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ (রোওয়াব) উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানবপাচার আইনের অপপ্রয়োগ, বৈধ অভিবাসনের অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রোওয়াব সভাপতি ও বায়রার সাবেক অর্থ সচিব মো. ফখরুল ইসলাম।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রবাসী কর্মীদের বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে পাঠিয়েছে তাদেরকে সামান্য ভুলের জন্য মানবপাচারকারি বলা হয়। তিনি বলেন, অভিবাসন আইন থাকতে মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মামলা দেয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের হয়রানি মামলা ও গ্রেফতার সম্পূর্ণ অন্যায় ও অপরাধ। মানবপাচার আইনের সাথে অভিবাসন আইনের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মানবপাচার আইনে মামলা দেয়া হয়, অথচ আমরা কিছুই জানি না। তিনি বলেন, মানবপাচার আইনের অপব্যহার হচ্ছে। এটা সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলী বলেন, মানবপাচার আইন নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসন

করতে হলে সরকারকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি এমপি, বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাফরিজা শ্যামা, বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাসার, রামরুর চেয়ারপারসন ড. তাসনিম সিদ্দিকী, বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, শামীম আহমদ চৌধুরী নোমান, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, ।

 

 



 

Show all comments
  • মতিউর রহমান খান ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৪৯ পিএম says : 0
    অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি রিক্রটিং এজেন্সির মালিকরা সরকারের সকল নিয়মনীতি অনুসরণ করে জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ক্রমে স্মার্ট কার্ড নিয়ে সম্পুর্ন বৈধ ভাবে জনশক্তি রপ্তানি করে রেমিট্যান্স যোদ্ধা তৈরি করে আর রিক্রটিং এজেন্সির মালিকরা হয় মানবপাচার কারী।সামাজিক ভাবে রিক্রটিং এজেন্সির মালিকরা হয় ঘৃণিত ছেলে মেয়ে স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের হয় লাঞ্চিত ও অপমানিত। আমরা মানবপাচার আইনের বিরুদ্ধে নয় তবে এ আইনের সংস্কার চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বায়রা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ