Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে লিগ্যাল নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১১ এএম

ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ এবং অনলাইনে ডলার কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশ দেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূলত মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ডলারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ২০০৬ সালে ১ ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭০ টাকা। অপরদিকে ২০২১ সালের অক্টোবরে ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫ দশমিক ৬০ টাকা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৮৮ টাকা দরে ডলার বিক্রি হচ্ছে। অর্থনীতির ভাষ্য অনুযায়ী, সকল মুদ্রার (ঋরধঃ ঈঁৎৎবহপু) মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে। এমনকি মার্কিন ডলারেরও মুদ্রাস্ফীতি আছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাংলাদেশে এই মার্কিন ডলারের দাম অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশ থেকে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে অধিক পরিমাণে অর্থ খরচ হচ্ছে এবং আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলশ্রæতিতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ব্যাপক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছেন। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছেন না।

নোটিশে আরও বলা হয়, মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়ন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কারণে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে নিপতিত হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ব্যতীত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।


কিন্তু বাংলাদেশে সেওনিয়ার, স্ক্রিল, নেটেলার, গ্রেপল, ওয়েবমানি ইত্যাদি মাধ্যমে অধিক মূল্যে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। বাংলাদেশে এসব বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংককে অবিলম্বে এসব অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ সাইট নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং এসব ওয়েবসাইটের ডলারের মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্যে করতে হবে। পাশাপাশি এসব ডলার কেনোবেচার অনলাইন সাইটগুলোকে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নোটিশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে মার্কিন ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিগ্যাল নোটিশ

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ