Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

উনিশ মাস পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণের স্পন্দন প্রিয় স্বপ্নিল ক্যম্পাসে উচ্ছাস ভরা মন নিয়ে ফিরল ৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ২:৪৭ পিএম

দীর্ঘ ১৯ মাস পরে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের স্বপ্নিল ক্যম্পাসে উচ্ছাস ভরা মন নিয়ে ফিরল ছাত্র-ছাত্রীরা। করোনা মহামারীর শুরুতে গত বছর ১৭ মার্চ সারা দেশের মত বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। অনেক অনিশ্চিত প্রতিক্ষা আর অপেক্ষার পরে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্র ছাত্রীদের কোলাহলে মুখরিত হল আবার বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় ক্যম্পাস। পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে এবং প্রিয় ক্যাম্পসে ফিরতে পেরে বেশীরভাগ ছাত্রÑছাত্রীই আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। অনেকেই প্রিয় বন্ধুদের কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে মুখের হাসিতেই চোখের পানিতে কপোল ভিজিয়েছে।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা মহামারী পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা দেশ ছেড়ে যায়নি। তাই বিশ^বিদ্যায় কতৃপক্ষের ছিল সব ধরনের সতর্কতা। মাস্ক পরিধান সহ সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি অনুসরনে ভিসি ড. মোঃ সাদেকুল আরেফিন সহ শিক্ষক মন্ডলি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। তবে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থার লাল দোতালা বাস ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্যম্পাসে প্রবেস করতে দেখা যায়নি। সব কিছু গুছিয়ে উঠতে সময় লাগছে বলে জানিয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই ছাত্রÑছাত্রীদের পরিবহন সুবিধার আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন কতৃপক্ষ। বিআরটিসি’ও বিশ^বিদ্যলয়ের জন্য ৬টি দোতালা সহ ৭টি বাস প্রস্তুত করে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের পরিক্ষা বা ক্লাসের পরে অনেক ছাত্রÑছাত্রীই ক্যম্পাসের বিভিন্নস্থানে পুরনো আড্ডায় মেতে ওঠে। প্রিয় বন্ধুরা সব সময়ই অতি কাছের। তবে করোনা মহামারীর সতর্কতায় মাস্ক পড়ে এবং শ্রেণী কক্ষে দুরত্ব বজায় রেখেই বসতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনে ক্যম্পসে নানা নির্দেশনাও টানান হয়েছে।
তবে করোনার চোখ রাঙানী সহ অনেক বাধা বিপত্বি অতিক্রম করেই প্রায় ৮ হাজার ছাত্রÑছাত্রীকে নিয়ে বরিশাল বিশ^বিদ্যলয় ক্যম্পাস বৃহস্পতিবার ফিরেছে তার সরূপে। বিশ^বিদ্যলয়ের ভিসি ড. মোঃ সাদেকুল আরেফিন জানান, আমরা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ছেলে মেয়েদের চলতে বলছি। আমরাও তদারকি করছি। করোনা মহামরীতে বন্ধের কারনে সেসন জট প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, আমরা বন্ধের মধ্যেও অন লাইনে ক্লাস নিয়েছি। অনেক বিভাগের পরিক্ষা সশরিরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার পরেও কিছুটা পিছিয়ে পরলেও তা সম্ভব স্বল্পতম সময়ে কাটিয়ে ওঠার সর্বত্মক চেষ্টা চলবে বলেও জানান তিনি।
ইতোপূর্বেই বিশ^বিদ্যলয়ের ৪টি হলের ৩টিতে একডোজ ভ্যাকসিন গ্রহনকারী ছাত্রÑছাত্রীরা উঠে গেলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেশীরভাগই কোন টিকা গ্রহন করতে পারেনি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায়। বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রÑছাত্রীদের দ্রুত এনআইডি প্রদান বা জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষে নির্বাচন কমিশন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চললেও খুব অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকগনও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদানে এখনো তেমন কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ