Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাজারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে?

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

দ্রব্যমূল্য অনিয়ন্ত্রিত। লাফিয়ে লাফিয়ে তেল, চিনি, চালের দাম বাড়ছে। মাছ, মাংস তরিতরকারীর দাম কোনো সময় নিয়ন্ত্রিত আবার কখনো কখনো আকাশচুম্বী। বাজার মনিটরিং এর জন্য সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থা কাজ করলেও জনগণ তার ফল খুব একটা ভোগ করতে পারে না। আসলে বাজার মূল্য বেচা বিক্রি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় সাধারণ জনগণ সেটা বুঝে উঠতে পারে না। দাম বাড়লেই জনগণ বলে থাকেন সিন্ডিকেট করে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে কতিপয় পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করলেও বাজারে তার প্রভাব খুব একটা পড়ে না। সয়াবিন তেল লিটার ১৬০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। চিনি এখন ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাল, পিয়াঁজ, আদা, রসুন সবকিছুর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়া অব্যাহত আছে। উঁচু তলায় বিত্তশালী ব্যবসায়ী শিল্পপতি আমলা চাকরিজীবী যারা আছেন তাদের জন্য হয়তো মূল্যবৃদ্ধি তেমন কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা শুধু নিম্ন মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের। অথচ, দেশে এসব মানুষের সংখ্যাই ৮৫ ভাগ। তাদের কথা চিন্তার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ স্থিতিশীল রাখবার জন্য মন্ত্রণালয় রয়েছে। বাজর মনিটরিং কমিটি রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তবুও এই সময় মানুষের যখন আয় ইনকাম সীমিত, কেউ কেউ বেকারত্বের অভিশাপে জীবন পার করছে, এক বেলা খেয়ে এক বেলা না খেয়ে দুর্যোগের সময়ে বন্যা কবলিত মানুষগুলো যখন মানবেতর জীবন যাপন করছে, তখন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রাখছে। এসব সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারী চালাতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষদের রুজি রুটির অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে। কারণ, যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা জনগণের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। জনগণের সুবিধা-অসুবিধা, খাদ্যের প্রয়োজনীয় পণ্য সঠিকভাবে সরবরাহ, মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজারজাত সবকিছু রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কোনো অবস্থায় এসব দায়িত্ব থেকে রাষ্ট্র বিরত থাকতে পারে না। জনগণের সুখ ও দুঃখের বিচার বিশ্লেষণ সর্বদা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। এসব বিষয়ে অবহেলা দুর্বলতা প্রকাশ পেলে রাষ্ট্রের শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই উঁচু থেকে নিচু, ছোট থেকে বড়, ধনী থেকে গরিব সব শ্রেণী পেশার মানুষ যেনো আত্মমর্যাদার সাথে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

মাহমুদুল হক আনসারী
সংগঠক ও গবেষক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন