Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর আটক ৭

প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকালে শহরের গ্র্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্র্যান্ড হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে শেয়ারহোল্ডার জিয়াউল হকের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইব্রাহিম খান সাদাতের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিয়াউল হকের নেতৃত্বে তার কয়েকজন সহযোগী শাবলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ওটি রুমসহ বিভিন্ন কক্ষের ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জন রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করে। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকসহ রোগীদের বের করে দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ হাসপাতাল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে হামলাকারীদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। কিন্তু হামলাকারীরা আত্মসমর্পণ না করে হাসপাতালের একটি কক্ষে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে তাদের আটক করে। এরা হলেন জিয়াউল হক (৪৫), এনামুল হক (৫২), হারিজ মিয়া (৫২), মুত্তাকিন (১৮), রবিন ভূইয়া (২০), রাসেল ভূইয়া (২২) ও আফরিন খন্দকার (৩৫)। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইব্রাহিম খান সাদাত জানান, জিয়াউল হক হাসপাতালের কোনো শেয়ারহোল্ডার নন। তিনি ভোরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এবং রোগীদের মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঈনুর রহমান জানান, হাসপাতালে হামলাকারীদের মধ্যে ৭ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর আটক ৭
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ