Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুদকের গন্তব্য অস্পষ্ট

বেসরকারি ব্যক্তিদের ‘অর্থপাচার’  তিন মাসের মাথায় ‘ইভ্যালি’ সিআইডিতে  আঁকড়ে ধরা এনু-রূপন-খালেদ-জেসমিনের অনুসন্ধান  বৈধ বিনিয়োগ-বাণিজ্যও যে আইনে ‘অপরাধ’

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

অর্থপাচারের অনুসন্ধান নিয়ে অস্পষ্ট গন্তব্যের দিকে ছুটছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আসা অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের এখতিয়ার সংস্থাটির নেই। তথাপি ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’র সঙ্গে ‘অর্থপাচার’ সম্পর্ক যুক্ত করে দুদক চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধান। কিন্তু এসব অনুসন্ধানলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে দায়েরকৃত মামলার ফলাফল কি হবে-সেটি সংস্থাটির কাছে এখনও অস্পষ্ট। এক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থেকে ৩ মাস অনুসন্ধানের পর ইভ্যালির বিরুদ্ধে চলমান ‘অর্থপাচার’র অভিযোগ অনুসন্ধান থেকে পিছু হটে দুদক। অনুসন্ধানটি পাঠিয়ে দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে-দুদক তাহলে অন্য বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে কিভাবে?

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, অর্থপাচার, স্থানান্তর, রূপান্তরকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ গণ্য করে ২০১২ সালে প্রথম ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ প্রণীত হয়। ২০০৯ সালে, ২০১২ সালে আরো দু’টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়। ২০১৫ সালে এ আইন সংশোধন করা হয়। তিনটি আইনই পরবর্তীতে একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে দুদকের তফসিলভুক্ত। বলা বাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থপাচারবিরোধী সংস্থা ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই)র পীড়াপীড়িতে বাংলাদেশ কথিত ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ প্রণয়নে বাধ্য হয়। এটি বাংলাদেশের স্থানীয় কোনো আইন নয়। অর্থ পাচারের আন্তর্জাতিক আইন এবং সংজ্ঞার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয় স্থানীয় এ আইনটি। অর্থাৎ স্থানীয় অপরাধকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক চোখ দিয়ে। যে কারণে প্রতিটি মানিলন্ডারিং আইন ব্যাপক ভিত্তিক অথচ অসম্পূর্ণ। এ আইনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের কথিত ‘অর্থপাচার’কে বিশ্লেষণ করতে গেলে একজন নাগরিকের দৈনন্দিন স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মাত্রই ‘অর্থপাচার’ হিসেবে সাব্যস্ত হচ্ছে। প্রতিটি অর্থনৈতিক কার্যক্রমই ‘অপরাধ’। অথচ নাগরিকের বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সুরক্ষা প্রদানের বিধান রাখা হয়নি। ফলে বৈধ বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং শিল্পের প্রসারও দুদকের চোখে ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

বিদ্যমান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অন্তত: ২৭টি ধারায় সংঘটিত অপরাধ দুদক মাধ্যমে অনুসন্ধান ও তদন্তযোগ্য-মর্মে তফসিলভুক্ত করা আছে। এতে দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ডই এক হিসেবে অপরাধ। সর্বশেষ সংশোধনীর আগে ‘সম্পৃক্ত অপরাধ’ (প্রেডিকেট অফেন্স) হিসেবে পুলিশও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের কিছু মামলা দায়ের ও তদন্ত করতে পারতো। ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’র ২৩ ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেয়া ছিল। ২৩(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ‘সন্দেহভাজন’ এবং ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি’র আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এ আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট’ (বিএফআইইউ) কাজ করছে।

অভিযোগ অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে এনবিআর শুধু আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহায়তা করত। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন পাস হয়। ওই আইনে সবধরণের অর্থপাচার মামলা তদন্তের একক ক্ষমতা ছিল দুদকের। পরবর্তীতে আইনটি বাস্তবায়ন ও অর্থ পাচারের তদন্তের এখতিয়ার চেয়ে পুলিশসহ কয়েকটি সংস্থার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনটি সংশোধন করা হয়। তাতে বলা হয়, ব্যক্তিপর্যায়ে প্রতারণা, আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলা তদন্ত করবে পুলিশ। আর সরকারি সম্পত্তি-সংক্রান্ত প্রতারণা, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা তদন্ত করবে দুদক। দুদকের আইন হওয়ার আগে যেভাবে মামলা গ্রহণ ও তদন্ত করার এখতিয়ার ছিল সংশোধিত আইন অনুযায়ী সেভাবেই পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। সংশোধিত আইনে অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে। এই সংশোধনীর আওতায় সিআইডি ব্যক্তিগত পর্যায়ে সংঘটিত অর্থপাচার মামলার তদন্ত করছে। এ প্রক্রিয়ায় সংশোধিত অর্থপাচার আইনের ২৭টি তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে ২৪টি ধারায় পড়ে-এমন মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। মাত্র ৩টি ধারা দুদকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ারে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি ব্যক্তি পর্যায়ের সংঘটিত অর্থপাচার সংক্রান্ত আলোচিত বেশ কিছু অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যে ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেফতার তৎকালিন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুইয়া বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অন্তত ৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় আইয়ুবুর রহমান, আবু ইউনূস ওরফে আবু হায়দার, দ্বীন মজুমদার এবং অজ্ঞাত আর কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় সিআইডি চার্জশিটও দাখিল করেছে।
একই ক্ষমতাবলে যুবলীগের তৎকালিন নেতা এনামুল হক এনু ও রূপন ভুইয়ার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করে সিআইডি। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে অন্তত: ৪টি মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, ম্যানেজার গোলাম মোস্তফাসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
অন্যদিকে দুদকও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এনামুল হক এনু এবং রূপন ভুইয়ার বিরুদ্ধেও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। একইভাবে পাপুল-কাণ্ডে তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, জেসমিন প্রধান, কাজী বদরুল আলম লিটন, সাদিকুর রহমান মনিরসহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধেও ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ‘অর্থপাচার’র অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, এনু-রূপন, ওয়াফা, জেসমিন প্রধান, মনির, গোলাম মোস্তফা, আইয়ুবুর রহমান, আবু ইউনূস ওরফে আবু হায়দার, দ্বীন মজুমদারসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের প্রত্যেককেই ব্যক্তিপর্যায়ে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। তারা সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো পদে নেই। সরকারি অর্থও তারা আত্মসাৎ করেননি। অথচ দুদক তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মামলা করছে। চার্জশিটও দিচ্ছে।

আবার দেখা যাচ্ছে, কিছু কার্যক্রম চালানোর পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র বিরুদ্ধে ‘অর্থপাচার’র অনুসন্ধান সিআইডিতে ফেরত দিয়েছে। ভ্যালির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’র অভিযোগও দুদক আনেনি।

গত ২০ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সাফ জানিয়ে দেন, ই-কমার্স বা ইভ্যালির বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত নয়। মানিলন্ডারিংয়ের কথা যখন হয়েছিল তখন আমরা অনুসন্ধানে নেমেছিলাম। এখন মানিলন্ডারিংসহ ইভ্যালির বিষয়টি অন্য সংস্থা দেখবে। অথচ ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ৮ জুলাই থেকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় ৯ জুলাই ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী এবং উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামকে বিষয়টির অনুসন্ধান করছিলেন। তারা বিভিন্ন দফতর থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। দুদকের অধিকাংশ মামলার কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খানও ২৮ জুলাই দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ইভ্যালিতে নতুন বিনিয়োগের কারণে ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের ব্যাঘাত ঘটবে না। দুদকের এই আইনজীবী গত জুনে একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বলে কোনো কথা নেই। যে কোনো লন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান-তদন্তই দুদক করতে পারবে। অফিস আদেশ জারির আগেই হাইকোর্টের দু’টি রায় আছে এর সপক্ষে। অবৈধ সম্পদ অর্জন মাত্রই লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, বেসরকারি অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান নিয়ে খোদ দুদকের মাঝেই ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান কেন? এর উত্তর মিলেছে সংস্থাটির নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া কিছু তথ্যে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালে অর্থপাচার আইন সংশোধনীর পর অর্থপাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান নিয়ে সংস্থাটি অস্পষ্টতায় ভুগছে। গত সাড়ে ৫ বছরে সংশোধিত অর্থপাচার আইনে কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে চার্জশিট দিয়েছে। এখতিয়ার বহির্ভূত হলেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার সঙ্গে ‘অর্থপাচার’র অভিযোগ যুক্ত করে বেরসকারি কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে। কিন্তু শেষোক্ত মামলাগুলো এখনও উচ্চ আদালতে যায়নি। উচ্চ আদালত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মামলাগুলোর বিষয়ে কি আদেশ দেন-সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দুদক। অর্থাৎ এক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে সংস্থাটির মামলাগুলো। পরিপূর্ণ ফলাফল হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত দুদক সরকারি-বেসরকারি উভয় শ্রেণির ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করছে। চার্জশিট দিচ্ছে। সংস্থাটির যুক্তি হচ্ছে, উচ্চ আদালত যদি বেসরকারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ‘অর্থপাচার’র সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’র অভিযোগ অনুমোদন না করে তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ততদিন পর্যন্ত ‘অবৈধ সম্পদ’র সঙ্গে মানিলন্ডারিং যুক্ত করে দুদক অনুসন্ধান চালাতে পারে।

তবে অর্থপাচার মামলায় দুদকের এই ‘এক্সপেরিমেন্ট’ প্রকৃত অর্থপাচারকারীদের সুরক্ষা দেবে বলে মনে করেন সংস্থাটির সাবেক আইনজীবী ব্যারিস্টার আকবর আমীন বাবুল। তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যক্তিদের অর্থপাচার অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্তের পক্ষে স্ব-আরোপিত অফিস আদেশ ছাড়া অন্য কোনো ভিত্তি নেই। দুদকের এই আদেশ এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ হয়নি। হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি হয়েছিল দুদকের আদেশ জারির আগে। পরবর্তীতে আদেশটি আদালত দ্বারা জাস্টিফায়েড হয়নি। ফলে বেসরকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংস্থাটির মনগড়া অবস্থান অর্থপাচারকারীদেরই সুরক্ষা দেবে। বিদ্যমান আইনে এ ধরণের মামলা উচ্চ আদালতে না টেকার আশঙ্কাই বেশি। লন্ডন বারের তালিকাভুক্ত এ আইনজীবীর মতে, বিদ্যমান অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে স্থানীয় অপরাধকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক চোখ দিয়ে। যে কারণে প্রতিটি মানিলন্ডারিং আইনটি আপাত: ব্যাপক ভিত্তিক অথচ অসম্পূর্ণ। এটির আরও সংশোধন প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ