Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন কমিশনার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার : কাউন্সিলের জন্য ১১ উপ-কমিটি

বিএনপির কাউন্সিল : নির্বাচন হবে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপের্টার : আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারপারসন পদের পাশাপাশি ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ পদেও নির্বাচন করতে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে বিএনপি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আগের দিন অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন,  গতকাল (বুধবার) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনের সাথে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে দলীয় গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনী সংশোধনী করার জন্য দলের চেয়ারপার্সনকে অনুরোধ করা হয়। যেটা আমাদের গঠনতন্ত্রে তাকে সেই অধিকার দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে দলের চেয়ারপার্সন দলের গঠনতন্ত্রের ১৯(ক) ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী অনুমোদন করেছেন।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে প্রবীণ নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। সদস্য করা হয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট হারুন-আল রশিদকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আমীনুল হককে।
মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

দলের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে কেবলমাত্র বিএনপির চেয়ারম্যান অথবা চেয়ারপারসন পদে নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিলো। সংশোধিত গঠনতন্ত্রের আলোকে এবার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ৮ ডিসেম্বরে কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে তারেক রহমানকে ওই পদে সর্বসম্মতভাবে  নির্বাচিত করেছিলেন কাউন্সিলরা।
নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে ১৯ মার্চের জাতীয় কাউন্সিল সফল করতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং ১১টা উপ-কমিটি গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উপ-কমিটিগুলো হচ্ছে-অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, শৃঙ্খলা ও সেবা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আসম হান্নান শাহ, ব্যবস্থাপনা ও প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড্রাফটিং উপ-কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক শফিক রেহমান, প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চিকিৎসাসেবা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, দফতর ও যোগাযোগ উপ-কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
এছাড়া অর্থ উপ-কমিটিও থাকবে। তবে এর আহ্বায়কের নাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সভা মনে করে দেশকে রাজনৈতিক শূন্য করার অংশ হিসেবে এটি একটি গভীর চক্রান্ত। আমরা অবিলম্বে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯ মার্চ আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হবে। ইতিমধ্যে আমরা তারিখ ঘোষণা করেছি। ভেন্যু আমরা তিন জায়গাতে চেয়েছি। এখনো আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। আমরা আশা করছি যে দুই-একদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আব্দুুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, কাজী আবুল বাশার, হেলেন জেরিন খান, সাইমুম বেগম, আবুল কালাম আজাদ, ফোরকান-ই আলম উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন কমিশনার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার : কাউন্সিলের জন্য ১১ উপ-কমিটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ