Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাছ সঙ্কটে চলনবিলের শুঁটকি চাতাল

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বর্ষার মৌসুমেও মাছের সঙ্কটে চলনবিলে এবার মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। আগের মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারনে চরম মাছ সঙ্কটে পড়েছে চলনবিলের শুটকির চাতালের মালিকরা। বর্ষার শেষে আশ্বিন কার্তিন মাসে চলনবিলে প্রচুর মাছ ধরা পরে। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী মাছ না পাওয়ায় প্রায় বন্ধ হতে চলেছে শুটকি চাতাল।

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহিষটুটি মৎস আড়াৎতের পাশে শুটকি চাতালের মালিক বাবু সেখ, আলমাছ হাওলাদার বলেন, প্রতি বছর আশ্বিন কার্তিন মাসে পানি নামার সময় প্রচুর, ট্যাংরা, পুটি, খলষে, বাতাসি, চ্যালা, টাকি, বাইম, শোল, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিংসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। ঐ সময় দাম ও কম থাকে। তখন এই সব মাছ দিয়ে চলে শুটকি তৈরির ধুম। অথচ এ বছর বিলে মাছ নেই বললেই চলে। বেশ কিছুদিন যাবত শুটকি তৈরির জন্য পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাতাল বন্ধ করতে হবে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া শুটকি ব্যবসায়ীসহ কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মতে উল্লেখিত এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রায় দেড়শত চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য গুলো বন্ধ হবার পথে। বেকার হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে চলনবিলের প্রায় ৩ শতাধিক শুটকি চাতালের প্রায় ৫ সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক। চাতালের শ্রমিকদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি।

আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আশ্বিন কার্তিক মাস থেকে মাঘ ফাল্গুন পর্যন্ত চাতালে কার্যক্রম চলে। ৩ মণ তাজা মাছ শুকালে ১ মণ শুটকি পাওয়া যায় বলে তারা জানান।

মহিষটুটি এলাকার শুটকি আড়তে সভাপতি মজনু সরকার জানান, চলনবিল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিগন বাদাই জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাছাড়াও খড়া মৌসুমে অনেকেই পানি সেচে মাছ ধরে যার কারণে মাছ ও মাছের খাদ্য সমূলে ধ্বংস হচ্ছে। এ সব কারণে চলনবিলে এবার মাছ অনেক কম। তাই অধিক দামে কেনা মাছ দিয়ে শুটকি তৈরির খরচ ও বেড়ে গেছে।

তাড়াশ উপজেলার মৎস কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারে বন্যার পানি কম সময় অবস্থান করায় মাছ উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা পূর্ণ হবে। সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তা শাহেদ আলী জানান, গত বছর জেলায় ১৯৭ মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদিত হয়েছিলো। এবারে বর্ষার পানি কম সময় অবস্থান করায় মাছ কিছুটা কম হলেও এ বছর ২০০ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


হনুমানের হানায়
আহত ১০
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ছি গুইমারায় একদল হনুমানের অত্যাচারে গত দু’ সপ্তাহ ধরে অতিষ্ট মেম্বারপাড়া, দার্জিলিংপাড়া ও ডাক্তারটিলার বাসিন্দারা। সুযোগ পেলেই বাড়িতে ঢুকে ছোট বাচ্চাদের কোলে করে নিয়ে গাছে উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বাধা পেলে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছে বা ঝাঁপিয়ে পরছে গায়ের ওপর। ইতিমধ্যেই ৮ শিশু ও ৪ মহিলাকে কামড় দিয়েছে এই হনুমান।
বাধ্য হয়ে দিনরাত দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, ৯ নভেম্বর মেম্বারপাড়ার গৃহবধূ নাদিয়া তার ৩ বছরের মেয়ে আরিয়ান ছাপাকে গোসল করাচ্ছিল। হঠাৎ হনুমানের আক্রমণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন ছাপা। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

একই এলাকার মোশারফ হোসেনের চার মাসের ছেলেকে একা পেয়ে কোলে করে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হনুমান। এলাকাবাসীর কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে তার গলা ও হাতে কামড় দিয়ে আহত করে। এছাড়াও একই পরিবারের ৫ জন ডাক্তারটিলা এলাকার ৪ জনসহ অনেকেই হনুমানের আক্রমণের শিকার হন। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ বিভাগের জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, যে কোন বন্যপ্রাণি ও বন্য হনুমান তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সরকারি সাপোর্ট তাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। এরপরও তিনি এলাকায় যাবেন। সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হনুমানের যেনো কোনো ক্ষতি করা না হয়।

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান শুরু আজ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম দিন চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের (বাওয়া) শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর নগরীর তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে এই টিকাদান চলবে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (সিজিএস), লালখান বাজারের মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আকবরশাহ এলাকার মীর্জা ইস্পাহানি স্কুল। টিকা ব্যবস্থাপনার কাজ করছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। প্রথম ধাপে শুধু এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য কোনো অনলাইন নিবন্ধন লাগবে না। কারা টিকা পাবেন, তা নির্ধারণ করে তালিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
টিকা নিবন্ধনের জন্য তাদের একটা কার্ড দেওয়া হবে। পরবর্তী ডোজের টিকার জন্য ওই কার্ড নিয়ে আসতে হবে।

এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত¡াবধানে গতকাল সোমবার টিকাদানকারী নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম দিন চট্টগ্রাম কলেজের ৭৫০ জন, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে, বাওয়া স্কুল মরিস ব্রাউন স্কুল কেন্দ্রে ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা মির্জা ইস্পাহানী স্কুল কেন্দ্রে টিকা নেবেন। নগরীর এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শুঁটকি চাতাল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ