Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিজিটাল নিরাপত্তা বাড়াতে হবে

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৪০ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

দেশের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল হুমকিও সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এই খাতে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ডিজিটালাইজেশন যাতে দেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেছেন, ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে কেউ যেন অপরাধ কার্যক্রম চালাতে না পারে সে ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে। বিশেষ করে আর্থিক খাত এবং গোপনীয় বিষয়ের নিরাপত্তা যাতে কোনভাবেই বিঘিœত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় দেশের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ থীমকে সামনে রেখে সরকারের আইসিটি বিভাগ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।
সরকারের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়নের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৬ প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এর আওতায় বাংলাদেশে বিশ্বমানের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, সাইবার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম (সিইআরটি) প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার বিনা খরচে সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও, নিরাপত্তার অজুহাতে তা হাতছাড়া করে। আমরা সরকার গঠন করে দেশের স্বার্থে টাকা খরচ করে সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হই। তিনি বলেন, দেশে কোন বিকল্প সাবমেরিন কেবল না থাকায় আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশ প্রায় ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উড্ডয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালে এর যাত্রা শুরুর পর নিজস্ব চাহিদা পূরণের সাথে সাথে আমরা স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে পারবো।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও অ্যাক্সেস টু ইনফর্মেশন (এটুআই) কর্মসূচির পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার সরকার শিক্ষাখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১৭টি টেক্সট বইকে ডিজিটাল টেক্সটবুক বা ই-বুকে রূপান্তর করেছি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে আমরা সারাদেশে ৩০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করেছি। সারাদেশে ২ হাজার ১টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করেছি। আরও ৯০০টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ শেষের পথে। ৬৪ জেলায় ৬৫টি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে সাড়ে ৫ হাজারেরও অধিক ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি। ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা বিশ্ববাসীর সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এওয়ার্ড ২০১৬’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম কারিগর আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওর কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার চালানো শিখেছি। মা হিসেবে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ পুরস্কারে আমি সম্মানিত বোধ করেছি। এ অর্জন শুধু সরকারের নয়, এ কৃতিত্ব দেশের জনগণের।
প্রধানমন্ত্রী দেশের আইসিটি শিল্পের বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা (আইটিইউ)-এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে পুনরায় জনগণের সেবার সুযোগ পায়। আমরা সরকার গঠন করে মানুষকে উন্নত জীবনদানের প্রতিজ্ঞা করি। তারই অংশ হিসেবে আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ঢেলে সাজাই। এ সময় তিনি বিএনপি সরকারের সময় মোবাইল ফোনের একক মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিয়ে ব্যক্তিখাতকে উন্মুক্ত করে দেয়াতেই আজ সবার হাতে মোবাইল ফোন আসতে পেরেছে বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার বিগত সাড়ে সাত বছরে আইসিটি খাতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। আজ দেশের প্রতিটি উপজেলা ফাইবার অপটিক কেবলের আওতায় এসেছে। যে ব্যান্ডউইথ-এর দাম ২০০৭ সালে ছিল ৭৬ হাজার টাকা, তা কমিয়ে বর্তমানে মাত্র ৬২৫ টাকায় এনেছি। ইতোমধ্যে প্রায় সব উপজেলায় থ্রি-জি সেবার আওতায় এসেছে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই ফোর-জি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে আজ প্রায় ১৩ কোটির বেশি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ৫ হাজার ২৫০টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন ২০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে। ৩ হাজার ডাকঘরেও ডিজিটাল সেবা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি উন্নত দেশসহ প্রায় ৪০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবা রপ্তানি করছি।
সরকারি সেবা পেতে এখন আর মানুষকে অযথা হয়রানির শিকার হতে হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দেওয়া লাগে না। এক সময় এদেশে ‘হাওয়া ভবন’ সৃষ্টি করে ঘুষ বাণিজ্যকে যে প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দেওয়া হয়েছিল, আমরা তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তা বন্ধ করেছি। টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। সরকারি টেন্ডারগুলো এখন ই-জিপিতে চলে গেছে।
যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ব্যবহার করে তরুণ জনগোষ্ঠীর আউটসোর্সিং-এর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে ২০ হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিসহ সারাদেশে আরও ২০টির মত হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ভিলেজ আমরা গড়ে তুলছি। যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ বছরেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাওরান বাজারে জনতা টাওয়ারে শুরু হয়েছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অপারেশন। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে হাতে-কলমে কারিগরি শিক্ষা নিতে পারে সে জন্য গড়ে তুলছি আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পর্ব শেষে মেসলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় ৪০টি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে কি কি সেবা দিচ্ছে তার আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হবে। মেলায় শীর্ষস্থানীয় শতাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম তুলে ধরবে। তিন দিনব্যাপী আয়োজনে মাইক্রোসফট, ফেসবুক, একসেন্সার, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশি বক্তাসহ দুই শতাধিক বক্তা ১৮টি সেশনে অংশ নেবেন। এছাড়া নেপাল, ভুটান, সউদী আরবসহ ৭টি দেশের ৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে অংশ নেবেন।

২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সেবা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে : জয়

বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেবার ৯০ শতাংশ সেবা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রদান করা হবে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬ এর প্রথম দিনে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে জয় এ কথা বলেন। কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় কনফারেন্সে নেপাল, ভুটান, সউদী আরবসহ ৭টি দেশের ৭ জন মন্ত্রী মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আগামী ২০২১ সালকে লক্ষ্য করে নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ৯০ শতাংশ নাগরিক সেবা ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে ২০২১ সালের মধ্যে। চারটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল সরকার, নাগরিক সেবা সংযুক্ত করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, আইটি শিল্প বিকাশ।
২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, অতীতে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিলো ৪০ শতাংশ, এটি কমে এখন ২৩ শতাংশ। সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৯ শতাংশ, এটি এখন ৭১ শতাংশ, বিদ্যুৎ সেবা পেত ২৭ শতাংশ এখন পায় ৭৫ শতাংশ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো দশমিক ৪ শতাংশ এখন তা ৪০ শতাংশ, মোবাইল ব্যবহারকারী ছিলো ২০ লাখ এখন তা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি, সামজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারী ছিলো সামান্য এখন ২০ লাখের বেশি, ই সার্ভিস হাতে গোনা কয়েকটি ছিলো এখন ২০০ শতেরও বেশি সেবা পায় মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৩০ লাখ গ্রাহক মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ১ কোটি ফলাফল এসএমএস প্রদান, ৫০ হাজার ই-টেন্ডার, স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলছে। জয় বলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল নেটওর্য়াকের আওতায় এসেছে, ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মোবাইল সংযোগ, দেশব্যাপী থ্রি জি নেটওয়ার্ক, ৬৪ মিলিয়ন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। এছাড়া জাতীয় হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ স্থাপনের কাজ চলছে। এর আগে সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘ননস্টপ বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ৪০টি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে কি কি  সেবা দিচ্ছে তার আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হবে এখানে। এতে শীর্ষস্থানীয় শতাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম তুলে ধরবে। তিন দিনব্যাপী আয়োজনে মাইক্রোসফট, ফেসবুক, একসেন্সার, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশি বক্তাসহ দুই শতাধিক বক্তা ১৮টি সেশনে অংশ নেবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল নিরাপত্তা বাড়াতে হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ