Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হুমকিতে ফসলি জমি-সড়ক

সালথায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সলিয়া ও গোবিন্দপুর এলাকার কুষ্টিয়া চকে একাধিক স্থানে ভূমিগর্ভ হতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। ফলে হুমকিতে পড়ছে ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি। থামছে না প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার বহেরপুর ইউনিয়নের কাবুলতলা গ্রামের মৃত জয়েন সিকদারের ছেলে শরিফুল সিকদার ও আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কামরুল দীর্ঘদিন যাবৎ এই ঐতিহ্যবাহী চক হতে একাধিক ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করে আসছে। প্রতিদিন তারা বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, সড়ক সেতু ও বিভিন্ন বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাঁধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কুষ্টিয়া চক থেকে বালু উত্তোলন করছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মে যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে কুষ্টিয়ার চক হতে বাড়ি ঘর, ব্রিজ ও ফসলি জমির নিকট থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু ক্রয়কারী সলিয়া গ্রামের মৃত মুনতাজ শেখের পুত্র মো. আরমান শেখ বলেন, আমরা টাকা দিয়ে বালু ক্রয় করে ভরাট করছি। অন্য বালু ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, খুব শিগগিরই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড্রেজার বালু উত্তোলন

২১ নভেম্বর, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ