Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি মুরগিতে রবিউলের ভাগ্যবদল

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


এসএম রাজা, ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে
ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী সরদারপাড়া গ্রামের হাজী নকিমউদ্দিন পোলট্র্রি খামারের স্বত্ত্বাধিকারী এসএম রবিউল ইসলাম সোনালি মুরগি পালন করে আজ তিনি একজন সফল ও লাভবান খামারি। তার খামারের সোনালি মুরগির ডিম ১৫ থেকে ১৬ টাকা পিস দরে বিক্রি করছেন। রবিউল নিজে সোনালি মুরগি পালন করে এলাকার অন্যান্য বেকার যুবকদেরও সোনালি মুরগি পালনে উৎসাহিত করেছেন। রবিউল ইসলাম জানান, যুব উন্নয়ন থেকে পোলট্র্রি, গবাদিপশু ও মাছের ওপর তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়িতেই ২০০০ সালে লেয়ার জাতের ২৫০টি মুরগি পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৯ হাজার মুরগি রয়েছে, এর মধ্যে সাদা লেয়ার মুরগি ৭ হাজার, লেয়ার মুরগি ৫ হাজার, হ্যাচিং ডিম সোনালি মুরগি ২ হাজার, রোস্ট সোনালি মুরগি ৫ হাজার। গত ১ বছর ধরে তার খামারে সোনালি মুরগি ডিম দিচ্ছে। তিনি বলেন, পাবনার ভাই ভাই হ্যাচারির পরামর্শে ডিমের জন্য সোনালি মুরগি পালন করে অধিক মুনাফা পাচ্ছি। বর্তমানে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩শ’ সোনালির ডিম ১৫ থেকে ১৬ টাকা পিস দরে বিভিন্ন হ্যাচারির কাছে তিনি বিক্রি করছেন। ডিম বিক্রির টাকা থেকে যে মুনাফা পেয়েছি তা দিয়ে বেশ কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেছি। সোনালি মুরগি চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এলাকার বেকার যুবকদের নিজ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ চালু করেছি। তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে পরিবেশবান্ধব একটি বড় মাপের বায়োগ্যাস প্লান্ট করেছি, এতে নিজের পরিবারের রান্নার কাজ শেষ করে অন্য নয়টি পরিবারে সাপ্লাই দিতে পেরেছি। এতে কিছুটা হলেও রান্নার কাজে দেশের গাছ, কাঠ বেঁচে যাচ্ছে। রবিউল বলেন, সহজশর্তে কোনো ব্যাংক-বীমা কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করলে আগামীতে একটি হ্যাচারি স্থাপন করে খামারটি প্রসারিত করতে চাই। একইসাথে এলাকার বেকার যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ইচ্ছে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে সোনালি মুরগি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের সোনালি মুরগি চাষ করার জন্য আহ্বান জানান। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জামান বলেন, রবিউল ইসলাম সোনালি মুরগি পালন করে তিনি এখন ঈশ্বরদীর একজন মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রবিউল ইসলাম সোনালি মুরগির খামার করে আজ তিনি উপজেলার মধ্যে একজন সফল খামারি। বাজারে অন্য মুরগির ডিম ৬ থেকে ৭ টাকা পিস দরে বিক্রি হলেও সোনালি মুরগির প্রতিটি ডিম ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন, এতে তিনি অধিক মুনাফা পাচ্ছেন। হ্যাচারির মালিকেরা রবিউলের সোনালি মুরগির ডিম কিনে নিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করছেন। রবিউলের দেখাদেখি ওই এলাকার যুবকদের মধ্যে সোনালি মুরগি পালনের প্রতিযোগিতা চলে এসেছে। রবিউল নিয়ম মেনে খামারের কার্যক্রম পরিচালনা করলে ব্যাপক লাভবান হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোনালি মুরগিতে রবিউলের ভাগ্যবদল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ