Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেপ্টেম্বর ছিল উষ্ণতম মাস

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি ২০১৬ সাল বিশ্বের জানা ইতিহাসের উষ্ণতম বছর হতে চলেছে এমন ধারণার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হিসাবে এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর ছিল উষ্ণতম। এবারের গড় তাপমাত্রা ওই বছরের চেয়ে ০.০০৪ ডিগ্রি বেশি ছিল। সামান্য এ ব্যবধানকে পরিসংখ্যানের ভাষায় স্ট্যাটিস্টিক্যাল টাই বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছে তারা। ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরগুলোর গড় তাপমাত্রার থেকে এবারের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৯১ ডিগ্রি বেশি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা মাপার আধুনিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাইয়ের উতাও আগের বছরগুলোর রেকর্ড ভেঙেছিল। জুলাই, সেপ্টেম্বরের মতো গত ১২ মাসের ১১টিই উতায় আগের বছরগুলোর রেকর্ড টপকে গেছে বলে জানিয়েছে নাসা। বাদ গেছে কেবল জুন মাস।
প্রথমদিকে নাসা এ বছরের জুনকেও ১৩৬ বছরের মধ্যে উষ্ণতম জুন বলে ঘোষণা করলেও পরে জানায়, সে তথ্য ভুল। পরবর্তীতে সংযুক্ত তথ্যে চলতি বছরের জুন উষ্ণতা বিচারে ২০১৫ ও ১৯৯৮-র পর তৃতীয় সর্বোচ্চ, বলছে এ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বৈশ্বিক তাপমাত্রার মাস অনুযায়ী রেকর্ড আপডেট করার কাজ বেশ সংবেদনশীল। যার ধারাবাহিকতায় মধ্য শীতে দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা যোগ করে আমরা দেখেছি, চলতি জুন অন্য বছরগুলোর তুলনায় উষ্ণতম ছিল না, বলেন নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের পরিচালক গেভিন স্মিডিট। তার ভাষায়, আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, প্রতি মাসের এ গড় তাপমাত্রা সংবাদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের তুলনায় এটা খুব বেশি নয়। প্রথম নয় মাসের গড় তাপমাত্রা ২০১৬ সালকে উষ্ণতম বছরের দিকেই ধাবিত করছে বলেও মন্তব্য এ গবেষকের।
বিশ্বজুড়ে ছড়ানো ছিটানো ছয় হাজার তিনশ আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য যাচাই বাছাই করে নাসা প্রতিমাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার পরিমাণ বের করে। এসব দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চল এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা জোগাড় করে সংস্থাটি। ১৮৮০ সালের আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা মাপতে এত তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হত না বলে, তখনকার রেকর্ডকে বিবেচনায় নেয়া হয় না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকির মধ্যে মাস ও বছরের গড় উষ্ণতার পরিমাণ নির্ণয় আগের চেয়েও জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শিল্পায়ন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও বন ধ্বংসসহ নানা কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে দেশে খরা ও বন্যার আক্রমণ বাড়ছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট আরও বলছে, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমি এলাকার পরিমাণ গত ৩০ বছর ধরে বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ হয়েছে। এ কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবজি চাষ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। জলবায়ুজনিত তাপমাত্রার এই ক্রমবৃদ্ধি আটলান্টিক উপকূলে স্যান্ডির মত ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়বে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ওই ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার। এ ধরণের ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বন্যা গত দুইশ বছরে হওয়া বন্যার চেয়েও তিনগুণ শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স ও ইন্ডিপেনডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেপ্টেম্বর ছিল উষ্ণতম মাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ