Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

গোপালগঞ্জে ইজি বাইক চালককে হত্যা মামলার ৫ আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ সহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছে আদালত

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৪৬ পিএম

গোপালগঞ্জে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু (১৬ হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। একই সাথে ৫ আসামীর প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক মোঃ আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়ার বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, আনিচ ফকিরের ছেলে মোঃ বিপুল ফকির, শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মোঃ খলিল শেখের ছেলে মোঃ হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচাই গ্রামের মোঃ খোকন মোল্লার ছেলে মোঃ ফসিয়ার মোল্লা। এঘটনায় আসামীরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খালিদ ফকির তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং ০১৯২৭৭৯১৭৯৮ থেকে ফোন করে জাহিদুল ইসলাম বাবুকে জেলা শহরের কাচাঁ বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলে। পরে ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়া তার নিজ বাড়ী থেকে উক্ত স্থানে আসে। আসার পর থেকেই ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম নিখোঁজ থাকে। একই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ভুলবাড়ীয়া ব্রীজের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন জাহিদুল ইসলাম বাবুর পিতা মোঃ নজরুল মোল্লা ছেলের মৃতদেহ সনাক্ত করে এবং নিজে বাদী হয়ে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ হাসান শেখের বাড়ী থেকে ইজবাইকটি উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ হাসান শেখকে আসামী করে আদালতে চাজর্শীট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত ওই ৫ আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
আদালতে সরকার পক্ষে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুজ্জামান খান ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের পিতা মোঃ নজরুল মেল্লা বলেন, আমার ছেলেকে এই ৫ জন মিলে হত্যা করেছে। দীর্ঘ দিন পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। আমাদের দাবী দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। যাতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায় এবং কেউ যেন তার সন্তানকে এ ভাবে না হারায়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ মোক্তার আলী বলেছন, এ রায়ের মাধ্যমে এ পরিবারটি ন্যায্য বিচার পেয়েছে। আশাকরি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় কার্যকর হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদন্ড

১৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ