Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন জীবনের স্পন্দন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ‘বিপদাপন্ন’। কিন্তু এর মধ্যেও খুশির খবর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, প্রবালপ্রাচীরে আবার নতুন করে প্রবাল জন্ম নিচ্ছে। প্রতিবছরই প্রবালের বংশবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। এ বছরও সে ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস উপক‚লে একসঙ্গে সব প্রবাল শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিঃসরণ করে। এতে সেখানে রঙিন এক অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালপ্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উপক‚ল ঘেঁষে কোরাল সাগরে অবস্থিত। বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্বের কারণে ১৯৮১ সালে স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করে ইউনেসকো। গত জুন মাসে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে ‘বিপদাপন্ন’ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করে ইউনেসকো। অস্ট্রেলিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী গ্যারেথ ফিলিপস বলেন, নতুন জীবনের চেয়ে আর কিছু মানুষকে বেশি সুখী করে না। নতুন প্রবালের জন্মই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। প্রবালের জন্ম নিয়ে গবেষণা করছে রিফ টেক নামের একটি গবেষণাকেন্দ্র। এই কেন্দ্রের হয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন ফিলিপস ও তার সহকর্মীরা। এ দলে জীববিজ্ঞানী, শিক্ষার্থী, আলোকচিত্রীর মতো বিভিন্ন ধরনের লোকজন রয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকেই তারা সমুদ্রের নিচে প্রবালের ছবি তোলার কাজ করছেন। তারা যে ছবি ও ভিডিও ধারণ করবেন, তা এ বছরের প্রবালের উৎপাদনের বিষয়টি নজরদারি করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। এ ছবি থেকে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবে ইউনেসকো। এর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ‘বিপদাপন্ন রেটিং’ এড়াতে পারবে এটি। এ বছর প্রবালের জন্মের ঘটনাটি ধরতে পারার বিষয়টিকে গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন বিজ্ঞানী ফিলিপস। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালের বংশবৃদ্ধি একটি সমন্বিত বার্ষিক প্রচেষ্টা। বছরের বেশির ভাগ সময় প্রবাল বিভাজিত হতে থাকে। কিন্তু বছরের একটি সময় এসে প্রবাল একসঙ্গে সমুদ্রে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ছেড়ে দেয়। বিজ্ঞানী ফিলিপস আরও বলেন, সমুদ্রের তলদেশে অবতরণ ও বসতি স্থাপন করার আগপর্যন্ত প্রবাল লার্ভা ভেসে যায়। বিভিন্ন রাতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রবাল এভাবে বেশ কয়েক দিন ধরে বংশ বৃদ্ধি করে থাকে। সূত্র : সিএনএন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ