Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বরিশালের রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভোটাররা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২১, ৭:০১ পিএম

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের মহিলা-পুরুষ ভোটাগন স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে ইভিএম সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকায় সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন। আবার অনেকেই যেখানে সেখানে বাটন টিপে দিয়ে বুথ থেকে বের হয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনভিজ্ঞ ও ইভিএম সম্পর্কে জ্ঞানহীন ভোটারদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন বরে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি কেন্দ্র পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ম্যাজিষ্ট্রেট কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। এবারের রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মৃধা মু. আখতারুজ্জামান মিলন বাদে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রশাসন যে ধরনের দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিনভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে স্বীকার করেছেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোট প্রদান শুরুর পূর্বেই কয়েকশত মহিলা-পুরুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য ভোট কেন্দ্রে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দিয়ে দাঁড়িয়ে যান। কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনকালে প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা যায় কারো হাতের আঙ্গুলের ছাপ মিলছেনা। এতে তার ভোট নিশ্চিত করতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। অপরদিকে বৃদ্ধ ভোটাররা গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেবার পদ্ধতি না জানার কারনে দাঁড়িয়ে থাকায় পরবর্তিতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের চেয়ার ছেড়ে ভোটারকে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখাতে গিয়ে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের শিকার হন।
বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে কিছু সংখ্যক ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে না পারায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট প্রদান করতে সহযোগিতা করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বলেন এরা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে গোপনীয় বুথে প্রবেশ করে দাঁড়িয়ে থেকে অযথা সময় নষ্ট করছিল। সে কারনেই ভোট দেবার নিয়ম দেখানো হয়েছে। এব্যাপারে উক্ত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উজ্জ্বল দেবনাথ তার কেন্দ্রের বুথের অভিযোগ শুনে তিনি ভোট কেন্দ্রে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে গোপনীয় বুথে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় তিনি বলেন, আমার এই ভোট কেন্দ্রের অধিকাংশ ভোটার বেদে ও অশিক্ষিত সাধারন জ্ঞানহীন মানুষ। এরা ইভিএম কি জিনিস সে সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। এমনকি নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের ভোট দেয়ার ধারনা পর্যন্ত দেয়নি। ফলে ভোটাররা বুথে এসে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।
অন্যদিকে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেয়ারও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। একই অবস্থা রাজগুরু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাবুগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,খানপুরা আলিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র ও বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা যায়। এব্যাপারে কেন্দ্র পরিশর্শনে আসা বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, প্রথম প্রথম সমস্যা কিছুটা হতে পারে। কারন এখানকার ভোটারদের অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই। তবে আগামীতে এধরনের সমস্যা থাকবে না বরে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ