Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

রামগতির আলেকজান্ডার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রটি তালাবদ্ধঃ হয়রানির শিকার সেবা প্রার্থীরা

নিয়োগ প্রাপ্ত ডাক্তাররা দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ৪:১৪ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ। হয়রানির শিকার সেবা প্রার্থীরা। গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর এক টার সময় সরেজমিনে গিয়ে ঐ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধু মাত্র একজন স্টাফকে পাওয়া যায়। অন্যান্য সকল রুম তালাবদ্ধ দেখা গেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। নেই কোন ডাক্তার বা অন্যান্য স্টাফ। প্রথমে দেখেই মনে হলো কোন পরিত্যক্ত ভবন।

জনশূন্য ভবনটির প্রতিটি রুমে তালা লাগানো। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ভিতর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিজিটর আয়েশা বেগম নামের একজন মহিলা বেরিয়ে আসেন। ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফ কোথায় জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেননা বলে জানান এই প্রতিবেদককে। রামগতি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র আলেকজান্ডার বাজারের উপর অবস্থিত এই স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রের এমন বেহাল অবস্থায় উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
সম্পুর্ন খামখেয়ালিপনা-স্বেচ্ছাচারিতা আর মন মতো অফিস করা সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতিতে জর্জরিত আলেকজান্ডার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রটি। দেখা যায়নি ডাক্তার সহ অন্যান্য পদে নিয়োগ পাওয়া স্টাফদের।স্থানীয়রা জানায়,মাঝে মাঝে মন চাইলে এসে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে আবার চলে যান স্টাফরা। আর মাস শেষে বেতন নিচ্ছেন এখানে নিয়োগ পাওয়া ডাক্তার ও স্টাফগন। ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করা সহ রোগীদের সেবা দেওয়া হয়না এখানে।
দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনিয়মতান্ত্রিক অফিস করা নিয়মে পরিনত হয়েছে।

সুত্র জানায়,এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার,১ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার,১ জন ফার্মাসিস্ট, ১ জন অফিস সহায়ক থাকার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সরেজমিনে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাঃ ইষিতা শাহা
দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসেননা বলে জানান স্থানীয়রা।
ডাঃ ইষিতা শাহা দায়িত্ব পালন না করায় পৌর সভা ও আলেকজান্ডার ইউনিয়নের শত শত রোগীকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ফরাগ নামের এই ব্যক্তিকেও ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তিনি বাজারে আড্ডা দেওয়া সহ নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।এরা আলেকজান্ডার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে নিজেদের মন মত ও খামখেয়ালিপনায় পরিচালনা করার কারনে বর্তমানে রোগি বিমুখ হয়ে পড়েছে। নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে রোগী ও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতি চরম অনিহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চরম অবহেলা ও ঠিক মত দায়িত্ব পালন না করার কারনে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান রোগীরা। অথচ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০-৬০ জনের মত রোগী এসে নানা হয়রানির শিকার হন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের তদারকি নেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিকে। দায়িত্ব প্রাপ্তদের না পাওয়ায় এখানে কে কোন পদে নিয়োগ পেয়েছেন বা তাদের নাম কি? তাও পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। তবে গোপন সুত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামনাশীষ মজুমদারের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম শান্তনু চৌধুরী বলেন,বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ