Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাব: সাগর উত্তাল, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে হাজারো পর্যটক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৪৭ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এ অবস্থায় সেখানে বেড়াতে যাওয়া প্রায় ৯ শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এমন ঘোষণায় সে আটকা পড়া পর্যটকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে রবিবার আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সোমবার থেকে পুনরায় জাহাজ চলাচল করবে বলে জানা গেছে।

শনিবার বিকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউএনও বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল থেকে ৬ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরদিন জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।

তবে দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকবাহী জাহাজগুলো পুনরায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরছে। যেসব পর্যটক টিকিট ক্রয় করেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেড়াতে আসা দ্বীপে রাত্রী যাপনকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নং সতর্কতা সংকেতের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় এক হাজারের মতো পর্যটক ফিরে এলেও বাকিরা আটকে গেছেন। যদিও এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও শতাধিক পযর্টক দ্বীপে অবস্থান করছেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রিনলাইন জাহাজটি ঘাটে পৌঁছে। বাকি জাহাজগুলো সন্ধ্যা ৬টায় ঘাটে পৌঁছায়।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। তবে ২নং সতর্ক সংকেত জারি থাকলে জাহাজ চলাচল করবে বলে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন প্রশাসন। দ্বীপে এক হাজারের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। তারা ভালো আছেন। তাদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের টেকনাফের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, জাওয়াদের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার চলাচল শুরু হবে।

জানা যায়, জাওয়াদ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে দ্রুত নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদিন আবহাওয়ার মধ্যে বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ