Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ গ্রামবাসী নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৪৭ এএম | আপডেট : ৩:১০ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যে জঙ্গি মনে করে ১৪জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এই সংখ্যা ১১ জন বলে জানালেও, বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ১৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আহত হয়ে তাদের একজন সৈনিক মারা গেছে। এএফপি জানিয়েছে, একটি অ্যামবুশ অভিযান চালানোর সময় প্রথমে একটি ট্রাকে গুলি করে ছয় জনকে হত্যা করে সেনাবাহিনী। সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যারা জড়ো হয়েছিলেন, পরবর্তীতে সেই ভিড়ের ওপরেও গুলি করা হয়। মিয়ানমার সীমান্তের কাছের এই রাজ্যের মন জেলায় যখন শ্রমিকরা দিনের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিল, তখনি সৈন্যদের গুলিতে ছয় জন নিহত হয়। ওই এলাকায় কর্মকাণ্ড রয়েছে, এমন জঙ্গিদের ধরতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল সেনা সদস্যরা।

পরিবারের সদস্যরা বাড়ি না ফেরায় পরবর্তীতে স্বজন এবং গ্রামবাসীরা নিখোঁজদের খুঁজতে এসে নিহতদের শনাক্ত করে। এরপর তারা সেনাবাহিনীর সদস্যদের মুখোমুখি হয়ে এর কারণ জানতে চায়। নাগাল্যান্ড পুলিশের একজন কর্মকর্তা সন্দীপ এম. তামগে এএফপিকে বলেছেন, ‘তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের ওপর গুলি করে। সেই সময় আরও সাত জন নিহত হয়।’

এএফপি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার গুলিবর্ষণে আরও নয় জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তামগে জানিয়েছেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি এই মুহূর্তে 'খুবই উত্তেজনাপূর্ণ'। ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় একজন সৈনিক নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের' ভিত্তিতে নাগাল্যান্ডের মোন জেলার তিরু এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে হতাহতের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেটি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় তারা ‘গভীর দুঃখ প্রকাশ’ করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।

এই ঘটনার পর নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে মোন জেলাটি অবস্থিত। ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে নাগাল্যান্ড এবং অন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো সরু একটি করিডোর দিয়ে সংযুক্ত। বহু বছর ধরে এসব এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর আন্দোলনের কারণে অস্থিরতা চলছে। এই এলাকায় অসংখ্য ছোট ছোট জাতিগত এবং ছোট গেরিলা বাহিনী রয়েছে। আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন থেকে শুরু করে তাদের ভারত থেকে আলাদা হওয়ার দাবি রয়েছে। সূত্র: বিবিসি।



 

Show all comments
  • Sojol Nurujjaman ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৩ পিএম says : 0
    সত্যি অনুপ্রবেশকারী হলে ঠিক হতো গুলি করা? কত দালালি করবেন আর? মানুষের জীবনের দাম নাই?
    Total Reply(0) Reply
  • Ajoy Kumar Das ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৪ পিএম says : 0
    আসাম রাইফেলস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব দেওয়া হয় , এটি হল একমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী যার রূপ এমন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohibul Hasan ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৪ পিএম says : 0
    হাতে অস্ত্র থাকলে মানুষকে পাখি মনে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Rahman ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৫ পিএম says : 0
    বর্ডারে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ মারতে মারতে অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। তাই এখন নিজের দেশের লোকজন মারছো। একেই বলে অপরের জন্য গর্ত করলে সেই গর্তে নিজেকে পড়তে হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ