রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পর কমনওয়েলথের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বছর উদযাপন করছেন। কমনওয়েলথ অব নেশনসের সৃষ্টিতে বড়
গোটা একটি প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড৷ বলা হচ্ছে এটি বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে আর কোনো ধূমপায়ী থাকবে না৷
২০২২ সালের শেষে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করতে চায় সরকার। আগামী বছরই সেটি আইন হিসেবে পাস হতে পারে, যা বাস্তবায়ন হলে এখনকার শিশুরা ভবিষ্যতে ধূমপানের সুযোগই পাবে না৷ দেশটির সহযোগী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আয়েশা ভেরাল এই পরিকল্পনা নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ধূমপানমুক্ত ২০২৫ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধকরণসহ আমরা সাহসী কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবো৷”
বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে ১৮ বছরের নীচের সবার জন্য সিগারেট আইনত নিষিদ্ধ৷ কিন্তু ২০২৭ সাল থেকে বয়সের এই সীমা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে৷ এভাবে এখন যাদের বয়স ১৪ বছর তারা কখনোই আর সিগারেট কেনার বৈধতা পাবে না৷ হিসাব করলে দেখা যাবে ৬৫ বছর পরে যারা সিগারেট কিনতে যাবেন, তাদের বয়স হতে হবে ৮০ বছর৷ তবে সরকার মনে করছে এতদিনও অপেক্ষা করতে হবে না, তার কয়েক যুগ আগেই নিউজিল্যান্ড ধূমপানমুক্ত দেশে পরিণত হবে৷
তামাকের খুচরা বিক্রয়ে বিশ্বে সবচেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা দেশের মধ্যে ভূটানের পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের উপর উচ্চ কর আরোপ করা হয়েছে দেশটিতে৷ অন্য দেশের তুলনায় সেখানে ধূমপায়ীর হার তাই এমনিতেই কম৷ বর্তমানে দেশটির ১৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ধূমপায়ীর হার ১১ দশমিক ছয় শতাংশ৷ তবে প্রতিদিন ধূমপান করেন নয় শতাংশ মাত্র৷
২০২৫ সালের মধ্যে এই হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার৷ এজন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী তামাকজাত পণ্য বিক্রির উপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে৷ বেঁধে দেয়া হবে নিকোটিনের মাত্রাও৷ তামাকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার এই আইনটি আগামী বছরের জুনে সংসদে পেশ করার কথা রয়েছে৷ সূত্র: ডিপিএ, রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।