Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাগেরহাটে মারধর করে কলার ভিতর দিয়ে সুঁচ খাওয়ানোর অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৪৯ পিএম

বাগেরহাটের কচুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ফেরদাউস শেখ (২০) নামের এক যুবককে কলার সাথে সুই খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নালীতে সুই নিয়ে ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ওই যুবক। এই অবস্থায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ফেরদাউসের চাচাতো ভাই নিজাম শেখ কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদাউস শেখ কচুয়া উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।

নিজাম শেখ জানান, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার ছোট চাচা জামাল শেখের ছেলে ফেরদাউস শেখকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেধরক মারধর করে প্রতিবেশী এশারাত শেখ, বাদশা শেখ, মোস্তফা শেখ ও হাবিব শেখ। মারধরের এক পর্যায়ে পাকা কলার ভিতরে সুই ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ফেরদাউসকে খাওয়ানো হয়। পরে ফেরদাউসের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে, তারা ফেরদাউসকে ছেড়ে দেয়। অসুস্থ অবস্থায় ফেরদাউসকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ, খালিশপুর ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে টাকার অভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে ৮ ডিসেম্বর খুলনা শহরের সাউথজোন ক্লিনিকে ফেরদাউসের অপারেশন করানো হয়। এখনও আমার ভাই সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিন মাস পরে আবারও একটি অপারেশন করা লাগবে।

ফেরদাউসের আরেক চাচাতো ভাই ইব্রাহিম শেখ বলেন, খুব কষ্ট করে ভাইয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। যার ফলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছি। বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) মারধরকারীদের লোকজন ফেরদাউসকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তারা কিছু টাকাও দিয়েছেন। সুই বের করার জন্য অপারেশন করা হয়েছে। তারপরেও আমার ভাই সুস্থ হয়নি। আবারও অপারেশন লাগবে, বাঁচবে কিনা জানিনা। আমরা ভাইয়ের সুস্থতাসহ, মারধরকারীদের বিচার চাই।
এশারাত শেখ জানান, ফেরদাউস শেখদের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতা রয়েছে। তবে সুই খাওয়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত নয়। চিকিৎসার ব্যয় বহনের জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরদাউসের পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ