Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এক বছর সংরক্ষণ করা যাবে ইলিশজাত পণ্য

বাকৃবি গবেষকের সাফল্য

বাকৃবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ইলিশ বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি সুস্বাদু ও মূল্যবান মাছ। বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের প্রায় ৭৫ ভাগই হয় বাংলাদেশে। দেশের চাহিদে মিটিয়ে বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা থাকায় রফতানিতেও রয়েছে অনেক সুযোগ। কিন্তু ইলিশ মাছের অতিরিক্ত কাটা এবং মাংসের চর্বি পচনশীল হওয়ায় বিদেশে রফতানি সম্ভব হয় না। তাই ইলিশজাত পণ্য এক বছর স্বাধ ও গন্ধে অপরিবর্তিত রাখার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম ও তার গবেষক দল।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য দেন গবেষণাটির প্রধান গবেষক ড. এ কে এম নওশাদ আলম। গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন আল শাহরিয়ার ও ড. মো. সাজেদুল হক। এ গবেষণা সম্পর্কিত একটি রিসার্চ পেপার হেলিয়ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ড. এ কে এম নওশাদ আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত চর্বির জন্য লবনাক্তকরণ (নোনাইলিশ) ছাড়া দীর্ঘদিন এ মাছ সংরক্ষণ করা যায় না। ইলিশের চর্বির সংরক্ষণ সক্ষমতা খুবই কম কারণ, এটি বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ইলিশের স্বাধ গন্ধকে নষ্ট করে ফেলে। তাই ইলিশ-পণ্য তৈরি করে কক্ষ তাপমাত্রায় (২৫-৩০ সেলসিয়াস) কিংবা ফ্রিজে ২০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সম্ভব হয় না। অন্যদিকে ইলিশে বিদ্যমান অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডকে অক্সিজেনে জারিত হওয়া না থামালে তা পঁচে দুর্গন্ধময় হয়ে যায়। জারণ বন্ধ করার জন্য দরকার ছিল একটি কার্যকরী ও উপকারি ভেষজ এন্টি অক্সিডেন্ট। ইলিশের চর্বিকে স্থিতিশীল করার জন্য এই নতুন উদ্ভাবিত ভেষজ এন্টি-অক্সিডেন্টটি হচ্ছে গাজর থেকে আহরিত ক্যারোটিনয়েড বা বিটা-ক্যারোটিন। যাকে ব্যবহারের মাধ্যমে ইলিশ মাছের স্বাদ ও গন্ধকে অপরিবর্তিত রেখে এই পথম ইলিশ-পাউডার ও ইলিশ কিউব তৈরি করা হয়েছে। ইলিশের স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
উদ্ভাবিত পণ্য সম্পর্কে গবেষক বলেন, নতুন পণ্যে আমিষ, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও অন্যান্য খনিজসহ ইলিশ মাছের সকল পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন অক্ষুণœ রয়েছে। তিনি আরও জানান, এক হাজার টাকা দামের একটি এক কেজি ইলিশ মাছ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক বাটি স্যুপ তৈরি করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাকৃবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ