Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিরীয় শরণার্থী শিশুরা যুক্তরাজ্যের পোশাক তৈরি করছে

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের তৈরী পোশাকের ক্রেতাদের জন্য তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের দিয়ে পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, তাদের গোপন তদন্তে দেখা গেছে, ওই শিশুরা তুরস্কের বিভিন্ন কারখানায় মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার (এমঅ্যান্ডএস) এবং অনলাইন-ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা অ্যাসোসের পোশাক তৈরির কাজ করছে। শরণার্থীরা অবৈধভাবে জারা ও ম্যাঙ্গো জিন্সের পৈাশাক তৈরিতেও কাজ করছে বলে দেখা গেছে। যে ব্র্যান্ডগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই দাবি করেছে, তারা তাদের সাপ্লাই চেন সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে এবং শরণার্থী ও শিশুদের অপব্যবহার বরদাস্ত করে না। মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার জানিয়েছে, তাদের অনুসন্ধানে তুরস্কে তাদের সাপ্লাই চেইনে একজনও সিরীয় শরণার্থী পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিবিসি প্যানোরামার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ব্রিটিশ এই খুচরা পণ্যের প্রতিষ্ঠানটির মূল কারখানাগুলোতেই সাতজন সিরীয় শরণার্থী কাজ করছে। এসব শরণার্থী প্রতি ঘণ্টার কাজের জন্য এক ব্রিটিশ পাউন্ডেরও কম মজুরি পেয়ে থাকে। তুরস্কের সর্বনিম্ন মজুরি থেকে এর পরিমাণ অনেক কম। দালালের মাধ্যমে কাজ পাওয়া এসব শরণার্থীকে রাস্তায় তাদের কাজের মজুরি নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়। এমন একজন শরণার্থী প্যানোরামাকে জানিয়েছে, কারখানায় তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, একজন সিরীয়র যদি কিছু হয়, তারা তাকে কাপড়ের টুকরার মতো ছুড়ে ফেলে দেয়। সবচেয়ে কম বয়সী কর্মীর বয়স ১৫ বছর এবং সে দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাপড় ইস্ত্রি করার কাজ করে। ইস্ত্রি করা ওই কাপড়গুলো এরপর যুক্তরাজ্যগামী জাহাজে তোলা হয়। মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের এক মুখপাত্র জানান, প্যানোরামার উদঘাটন খুব গুরুতর এবং এমঅ্যান্ডএসের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য। তাদের কারখানায় কোনো কাজ করা যে কোনো সিরীয়কে বৈধভাবে স্থায়ী কর্মী করা হবে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরীয় শরণার্থী শিশুরা যুক্তরাজ্যের পোশাক তৈরি করছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ