Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এবার বাড়ছে মুদিপণ্যের দাম ‘তেলে কথা রাখেনি ব্যবসায়ীরা’

প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। একের পর এক বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কিছুটা বৃদ্ধির পরে সবজির বাজার স্থিতিশিল হলেও বেড়েছে মুদিপণ্যের দাম। বাজারে সয়াবিন তেল, লবণ ও চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এক মাস আগে ঘটা করে ভোজ্যতেলে দাম কমানোর কথা জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই দাম না কমিয়ে এক মাসের মাথায় বাড়িয়েছে। ভোজ্যতেলের বোতলের গায়ের দামের চেয়েও অতিরিক্ত দাম এবং অন্যপণ্যের দাম নেয়া হচ্ছে ইচ্ছামতো। এসব দেখার কেউ নেই। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৪টি কমিটি পুনর্গঠন করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি, পাম তেল ৬৪ টাকা এবং সুপার পাম ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এর আগে ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি ৫ টাকা করে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বস্তবায়ন হয়নি। কোথাও কোথাও ২ থেকে ৩ টাকা কমানো হলেও এখন ৩ থেকে ৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তেল নিয়ে এই তেলেসমাতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
এদিকে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজি চিনির বস্তার দাম দুই হাজার ২৩০ টাকা। একমাস আগেও এক হাজার ৮৫০ টাকায় বস্তা বিক্রি হয়েছে। কেজির হিসাবে চিনির কেজি এখন ৪৪ টাকা, যা গত মাসের শুরুর দিকে ৩৫/৩৬ টাকা ছিল। বেড়েছে লবণের দাম। মোটা লবণ ২২ টাকা এবং চিকন লবণ ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রসুনের দামও বেশ চড়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম প্রতিদিনই অনেকটা হু হু করে বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে রসুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। অন্য দিকে, চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা রসুনের কেজি ছিল ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি রসুন কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেঁড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৫০ টাকা। ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা।
যদিও স্থিতিশিল রয়েছে বেগুন, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে। বাজারে গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টি আলু ৪০ টাকা, লাল ও নতুন দেশি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা এবং লাউ পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এদিকে ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আটি। লাল শাক আঁটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা।
বেড়েছে ডিমের দাম। শুক্রবার মুরগীর ডিমের ডজন ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর গোশত প্রতি কেজি ৩৮৫ থেকে ৪২০ টাকা, খাসি ৫৫০ টাকা।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কিছু কিছু মাছের দাম। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্তবিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোঁয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এবার বাড়ছে মুদিপণ্যের দাম ‘তেলে কথা রাখেনি ব্যবসায়ীরা’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ