Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারে গণহত্যায় ‘স্বচ্ছ ও বিস্তারিত’ তদন্তের দাবি জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:২২ এএম

গণতন্ত্রকামীদের রক্তে রাঙা মিয়ানমার। দেশে ‘খোলা হাওয়া’ ফেরাতে বেয়নেটকেও পরোয়া করছে না মানুষ। আর সেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন থামাতে একের পর এক হত্যালীলা চালাচ্ছে ‘তাতমাদাও’ বা বার্মিজ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি কায়াহ প্রদেশে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক গণহত্যার খবর। আর সেই ঘটনায় ‘বিস্তারিত ও স্বচ্ছ’ তদন্তের দাবি জানিয়ে জান্তার উপর চাপ বাড়ল জাতিসংঘ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে দেশের শাসনভার নিজের হাতে নেয় বার্মিজ সেনা। সেই অভ্যুত্থানের পর থেকেই অশান্ত মিয়ানমার। সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও একদল প্রতিবাদীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি জান্তা। বেশ কয়েকটি মিলিশিয়া সেনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমন করতে নির্বিচারে হত্যালীলা চালাচ্ছে সেনা বলে অভিযোগ।

কায়াহ প্রদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বিদ্রোহীরা। সেই প্রতিরোধ ভাঙতেই শুক্রবার রাতে এলোপাথারি গুলি চালায় বাহিনী। প্রমাণ লোপাট করতে ৩০ জনের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলেও খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে ধরেছে মিয়ানমারের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন কারেননি। তারপর থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে জান্তার উপর।

রোববার সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত। এর বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।” জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, “আম জনতার উপর সমস্ত ধরনের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। এহেন ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। আমি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চত করে।”

উল্লেখ্য, কায়াহ প্রদেশের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক হত্যালীলার অভিযোগ রয়েছে বার্মিজ ফৌজের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে এক প্রতিবেদনে বিবিসি দাবি করেছে, গত জুলাই মাসে মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কানি শহর সংলগ্ন অন্তত চারটি গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল বার্মিজ সেনা। যার ফলে শুধুমাত্র ওই চার এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন সাধারণ মানুষের। বলে রাখা ভাল, কানি শহর বিদ্রোহীদের ঘাঁটি। ওই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মিলিশিয়াগুলিকে শাস্তি দিতেই গণহত্যা চালায় ‘তাতমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনা। বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াইন নামের একটি গ্রামে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষকে মারা হয়। সেখানে ১৪ জন গ্রামবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে ফৌজ। এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল মো সো-র গণহত্যা-ও। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ