Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : মানিকগঞ্জে রেললাইন নির্মাণ করা হোক

প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মানিকগঞ্জ জেলার যাতায়াত বিভিনড়ব দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় ঢাকা-আরিচা রাস্তা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার পর এরই রাস্তার ব্যস্ততা কিছুটা কম হলেও ঢাকা থেকে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া হয়ে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে এখনও যাতায়াতের সহজ রাস্তা হিসেবে অনেকে বেছে নিচ্ছে। মানিকগঞ্জ জেলা কৃষিনির্ভর হলেও বর্তমানে এ জেলায় শিল্প কারখানা স্থাপিত হচ্ছে। ঐ শিল্প কারখ¬ানার উৎপাদিত পণ্য ঢাকাসহ সারাদেশে পরিবহনের জন্য রেললাইন খুবই উপযোগী একটি মাধ্যম। ঢাকা থেকে সাভার ইপিজেড হয়ে মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া পর্যন্ত একটি রেললাইন স্থাপন করা হলে সাভার, মানিকগঞ্জ, ধামরাই এলাকার জনগণ প্রতিদিন ঢাকায় এসে অফিস করে আবার বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। পরবর্তী সময়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া স্থানে দ্বিতীয় পদ্মা পদ্মা সেতু দিয়ে যশোর, খুলনা, রাজশাহী প্রভৃতি জেলায় যাত¬ায়াত করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে সাভারে অবস্থিত ইপিজেডের অন্তর্গত শিল্প কারখানার মালামাল খুব কম খরচে ট্রেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে খরচ এবং সময় দুটোই কমে যাবে। এসব বিভিনড়ব দিক বিবেচনায় এনে ঢাকা থেকে আশুলিয়া হয়ে মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া পর্যন্ত একটি রেললাইন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।
এমএ আওয়াল
চালা, ঝিটকা, মানিকগঞ্জ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও তারিখ প্রসঙ্গে
আগে বিভিনড়ব জেলায় স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে ফর্ম পূরণ করতে হতো। বর্তমানে প্রযুক্তির উনড়বতির সঙ্গে সঙ্গে ফর্ম পূরণের বিড়ম্বনা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। একই স্থান থেকে অনলাইন বা মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে বিভিনড়ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম পূরণ শুধু সময়ই বাঁচায়নি-কমিয়েছে বিড়ম্বনা, সাশ্রয় করেছে অর্থের। মেডিকেলে ভর্তি প্রμিয়াটি একটি দৃষ্টান্ত। একই প্রশেড়ব একই দিনে পরীক্ষা নিয়ে মেধাμমানুসারে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর কোনো এক লেখার প্রস্তাব করেছিলেন, সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রμিয়াটি হোক মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ-তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যন্তাঞ্চলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ছুটোছুটি অনেকাংশে লঘব হবে। আবার এইচএসসি তে যারা ভালো ফলাফল করল, উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে তারা সমস্ত বিড়ম্বনা পার হয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রাজি; কিন্তু একই তারিখে দেশের দুটি প্রান্তে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কিভাবে সম্ভব? লক্ষণীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ’ ইউনিট এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা একই দিন একই সময়ে অর্থাৎ ২৮/১০/২০১৬ তারিখে এবং ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ ২৯/১০/২০১৬ তারিখে সকালে ময়মনসিংহ কৃ ষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সিংহভাগের প্রত্যাশা থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে বিচার করলে এটা স্পষ্ট, সবার সে প্রত্যাশা পূরণ হয় না। এ অবস্থায়, উল্লিখিত সমস্যা অনুধাবনপূর্বক ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হোক যাতে একই দিনে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়।
কাজী ওয়ারেস
রোড-৯, প্লট-৯, নবোদয় হাউজিং, এ-ব্লক, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনকারীদের আবেদন
১৫১২১টি শূন্য পদের বিপরীতে তালিকায় এল ১২৬১৯টি, যার মধ্যে প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৯৩ জন। একই উপজেলার একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫০ পেলেও সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় সে তার নিজ উপজেলায় যতগুলো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছে সে সব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয়েছে। উপজেলায় ৪০ নম্বর পেয়ে টেনেটুনে পাস করলেও সে প্রম হয়েছে এবং সে নির্বাচিত হয়েছে। অথচ পাশের উপজেলা বা জেলার কোনো প্রার্থী তার থেকে দ্বিগুণ নম্বর অর্থাৎ ৭০-৮০ (বিষয়ভেদে ভিনড়ব) নম্বর পাওয়ার পরও কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয়নি। এমনও দেখা যায়, এক প্রার্থী ৪, ৬, ৮ ও ১০টা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চর্তু অপেক্ষমাণ মেধাতালিকারও সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা স্পষ্ট হয়নি। নির্ধারিত সময়ও উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া পরিপত্রে মহিলা কোটা উল্লেখ থাকলেও মহিলা কোটার আসনে পুরুষকে নির্বাচন করা হয়েছে। এ অবস্থায় নিবন্ধনকারীদের আবেদন-১ উপজেলা কোটা বাতিল করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মেধা তালিকায় প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। ২. নিবন্ধনকারীদের প্যানেল করে পর্যায়μমে নিয়োগ দেয়া হোক। তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যে সব উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শূন্য পদের তালিকা ঘঞজঈঅ-কে দেয়নি সেগুলোর বাধ্যতামূলক চাহিদা নিয়ে ঐসব উপজেলার নিবন্ধনকারীরে স্ব-স্ব উপজেলায় নিয়োগের লক্ষ্যে (পরিপত্র অনুযায়ী) শুধুমাত্র তাঁদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হোক। তাঁদের নিয়োগও সদ্য ঘোষিত নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গেই দিতে হবে। এতে যেমন প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগের ব্যবস্থা হবে তেমনি বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. খলিল শেখ (রাহাত)
১২১, দক্ষিণ কমলাপুর, ঢাকা-১২১৭।
পেনশনভোগীদের দু’টি আবেদন
নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাসস্থান ও চিকিৎসা অন্যতম। পেনশনভোগীরা মৌলিক অধিকারের বাইরে নন বলে তারা চিকিৎসাভাতা পান। কিন্তু দেওয়া হয় না বাড়িভাড়া। অনেক কর্মকর্তা- কর্মচারীই চাকরি জীবনে মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে পারেন না। চাকরি শেষে সরকারি কোয়ার্টার বা ভাড়া বাড়ি ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অজানা পথে যাত্রা করতে দেখা যায় তাদের। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে জুলাই ২০১৬ থেকে পেনশনভোগীদের বিদ্যমান পেনশনের ৬০% বাড়িভাড়া হিসেবে দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, যেহেতু কর্মরতদের বেতনের তুলনায় পেনশনভোগীদের পেনশন অনেক কম, তাই তাদের বৈশাখী উৎসবভাতার হারও অপ্রতুল। এ অবস্থায়, বাং¬লা নববর্ষে বৈশাখী উৎসবভাতা ২০%-এর স্থলে ৬০% করার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. সালাহ্ উদ্দিন
দড়িখরবোনা, রাজশাহী-৬২০৩।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : মানিকগঞ্জে রেললাইন নির্মাণ করা হোক
আরও পড়ুন