মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ

দুই মাসের বেশি সময় ধরে মারিউপোলের একটি ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ থাকা দুই শতাধিক সৈন্য আত্মসমর্পণ
আগামী বছরের শুরুর দিকে বেলারুশের সঙ্গে আরো একটি যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করার সময় বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এ কথা জানান তিনি।
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর তীব্র সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘোষণা দিলেন পুতিন।
বৈঠকে চলাকালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর আরো একবার যৌথ মহড়া পরিচালনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে প্রস্তাব দেন। সে সময় পুতিন বলেন, আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চের দিকে আবারো যৌথ মহড়া চালানোর উদ্যোগ নিতে পারি। কিন্তু এ বিষয়ে সেনাবাহিনীকে সময় নির্ধারণ করতে হবে।
এদিকে মেস্কোর এমন ঘোষণাকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি ইউক্রেন। কিয়েভের কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার কথা বলে বেলারুশ সীমান্ত থেকে তাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা করছে।
তবে রাশিয়া ইউক্রেনের করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে ন্যাটো এবং কিয়েভ উভয় মস্কোকে যুদ্ধের জন্য উসকানী দিয়ে চলেছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বেলারুশ ও রাশিয়া সপ্তাহব্যাপী বিশাল আকারের যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল। সে সময় পুতিন বলেছিলেন, এই মহড়া বিদেশি কোনও দেশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়নি। তবে রুশ সীমান্তের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর তৎপরতার জন্য এটি ছিল একটি প্রয়োজনীয় জবাব।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, যৌথ মহড়ায় দুই দেশের দুই লাখ সেনা, ৮০টি বিমান ও হেলিকপ্টার, ১৫টি যুদ্ধজাহাজ এবং প্রায় তিনশ ট্যাংক অংশ নিয়েছিল। সূত্র: রেডিও ফ্রি ইউরোপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।