Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মীরসরাইয়ে গরু চুরির হিড়িক, ১০ দিনে ২০টির অধিক গরু চুরি

রাত জেগেও ঠেকানো যাচ্ছে না গরু চুরি

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:৫৩ পিএম

মীরসরাইয়ে আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে গরু চুরির ঘটনা। গরু মালিকরা রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না গরু চুরি। গত ১০ দিনে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০টির অধিক গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরির ঘটনায় কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেলেও চুরি ঠেকাতে কিংবা চুরি হওয়া গরু উদ্ধারে পুলিশ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

জানা গেছে, গত ২০ডিসেম্বর রাতে খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া মুন্সি বাড়ি থেকে বাড়ির গেইট ও গোয়াল ঘরের তালা কেটে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ৩টি গরুর অনুমানিক দাম প্রায় দুই লাখ টাকা। গত ২২ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের আজিম মেম্বার বাড়ি থেকে মাহমুদল হকের ২টি ও বিপুল দাশের ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ৪টি গরুর অনুমানিক দাম প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এই ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর মীরসরাই থানায় গরুর মালিক বিপুল দাশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলাদায়ের করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরও পুলিশ চুরি ঘটানয় কোন আসামি কিংবা চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে পারেনি। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে একই ইউনিয়নের মুহুরী পাড়ার মুহুরী বাড়ির রহিম উল্যার ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ৩টি গরুর অনুমানিক দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

এছাড়া উপজেলার মঘাদিয়া, মায়ানী, ওয়াহেদপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে গত কয়েকদিনের ২০টি অধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক কৃষক রাতের বেলা বসত ঘরে নিয়ে গরু রাখছেন।

গরু চুরি করে নেওয়ায় ক্ষতিকগ্রস্থ কৃষক রহিম উল্যা বলেন, চুরির ব্যাপারে থানায় মামলা করে কোন লাভ হয়না। পুলিশও চুরির ঘটনায় মামলা নিয়ে চায়না।
খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল হাসান শিবলু জানান, রাতের বেলা পাহারা দিয়েও এলাকায় গরু চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। সংঘবদ্ধ চোরেরা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে থাকে। একদিক থেকে একটি দলকে তাড়া দিতে মানুষ ছুটে আসলে অন্যদিক দিয়ে আরেক দল গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

মোহাম্মদ আলী নামে এক কৃষক বলেন, গ্রামের গরীব কৃষকরা গরু লালন পালন করে জীবন জীবিকা চালায়। অনেক কৃষকের সম্বল বলতে থাকে গরু গুলো। সেগুলো চুরি হয়ে গেলে ওই কৃষক পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরির ঘটনা ঘটলে চোরদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং চুরি রোধে পুলিশের ভূমিকা অনেকটা রহস্যজনক। এভাবে গরু চুরি হতে থাকলে গ্রামে গরিব কৃষি পরিবার গুলো গরু লালন পালন বন্ধ করে দিবে। এতে কৃষি পরিবার ও দেশ দুইটি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বেকারত্ব আরো বাড়তে থাকবে।

গরু চুরির বিষয়ে মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, গরু চুরি রোধে রাতের বেলা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দলকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ