Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানীর উত্তরায় প্রেমিককে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

রাজধানীর উত্তরায় প্রেমিককে বেঁধে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে ধর্ষণে শিকার হন ওই তরুণী। ঘটনার পর মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ওই তরুনীর ব্যাগে থাকা দুইটি মোবাইল, কানের দুল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. সোহেল রানা, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. মঈনুল হোসেন, মো. সুমন আলী ও মো. মাসুম আলী। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই নির্মাণ শ্রমিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনের এডিসি তাপস কুমার দাস বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়ের পর গত ২৪ ডিসেম্বর ভিকটিম তরুণী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্মাণশ্রমিক জহিরুলের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরা পূর্ব থানার ৬নম্বর সেক্টরের ২নম্বর রোডের ৪নম্বর নির্মাণাধীন বাসায় আসেন। পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় নির্মাণাধীন বাসায় পাঁচজন নির্মাণশ্রমিক জহিরুলকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ ডিসেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় গণধর্ষণের মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা পূর্ব থানার ৬নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে সোহেল ও জয়নালকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মঈনুল, সুমন ও মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়।



 

Show all comments
  • Mahfuz Ahmed ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৪ এএম says : 0
    ধর্ষণ, খুন, দুর্নীতি হতেই থাকবে একের পর এক... অতঃপর, নিউজ হবে, মামলা হবে, গ্রেফতার হবে। তারপরও হবে, আবার হবে, হতেই থাকবে... এভাবে আর কতো?????
    Total Reply(0) Reply
  • Sanjib Shibu ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৪ এএম says : 0
    ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড এর পরিবর্তে মৃত্যুদন্ড করা হয়েছে। তারপরেও ধর্ষণ বন্ধ হয়নি...! এ থেকেই প্রমাণিত হয় শুধু কঠোর আইন প্রণয়ন করলেই অপরাধ সংঘটিত হওয়া বন্ধ হবে, বিষয়টি মোটেও তা নয়। অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনতে প্রয়োজন সুশাসন, ন্যায়বিচার, আইনের সহজলভ্যতা, সল্প সময়ে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ক্ষেত্রবিশেষে বাদীর নিরাপত্তা বিধানসহ আরো অনেক কিছু। বাস্তবে এসবের কোনটিই আমাদের দেশে আছে বলে মনে হয়না। উন্নত দেশগুলোতে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত বলেই অপরাধের মাত্রা অতি নগণ্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Khandaker Momin ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি তে পরিনত হয়েছে। এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আরো বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশাসন কে এগিয়ে আসতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mareum Akter Munny ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৫ এএম says : 0
    বিচার না হওয়ার ফলে ধর্ষণকারীরা নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করে
    Total Reply(0) Reply
  • Shaon Shahariar ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৫ এএম says : 0
    যতদিন ধর্ষণের বিচারহীন সংস্কৃতি চলে,,ততোদিন এ অপরাধ দিন দিন বাড়তেই থাকবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ