সকাল অতিক্রম করে দুপুর অবধি মাঝারি থেকে গাঢ় কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে মাঠ-ঘাট, গ্রাম-জনপদ, নদ-নদী অববাহিকা এলাকা। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইছে হিমালয় পাদদেশ ছুঁয়ে আসা কনকনে হিমেল হাওয়া। দিনের বেলায় দীর্ঘ সময়ব্যাপী কুয়াশার বাধার কারণে মাটিতে সূর্যের তেজ অনেকটাই কম পড়ছে। এরফলে বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাত থেকে ভোর-সকাল এমনকি দুপুর পর্যন্ত ঝির ঝির বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাতের কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ¦ালিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এদিকে আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই ‘শীত নামানো’ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এরপর তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এ মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। যা চলতি পৌষ মাসের শেষ দিকে কিংবা মাঘের শুরুতে বয়ে যেতে পারে।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সর্ব-উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ৩০.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮.৫ ও সর্বনিম্ন ১৬.৪ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে যথাক্রমে ২৯ ও ১৬.২ ডিগ্রি সে.। আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, পৌষ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে এসে দেশের অধিকাংশ স্থানে গতকালসহ গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে। তবে ব্যাপক কুয়াশার কারণে রোদের তেজ আটকে থাকায় শীত বেশিমাত্রায় অনুভূত হচ্ছে।

আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া জানান, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।