Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইউরোপজুড়ে টিকাবিরোধী মিছিল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৫ এএম

টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না। টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এই দাবিতে সপ্তাহান্তে গোটা ইউরোপে প্রতিবাদসভা চলল। বাড়ল কোভিড।

ব্রাসেলস থেকে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক থেকে জার্মানি-- সর্বত্র প্রতিবাদসভা আয়োজিত হলো। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক না পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। তাদের দাবি, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাদেরও সব জায়গায় যেতে দিতে হবে। কোভিডবিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এবং কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার যে পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তা বাতিল করতে হবে।

এদিকে গত কয়েকদিনে ইউরোপের একাধিক দেশে কোভিডের বিপুল বৃদ্ধি ঘটেছে। বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া নেই, তারাই এবার হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রোববার প্রায় গোটা দিন ধরেই প্রতিবাদ চলে। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মাস্ক না পরে সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, টিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। 'ভ্যাকসিন একনায়কতন্ত্র' বন্ধ করতে হবে। বস্তুত, বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না দেখালে রেস্তোরাঁ, পাব, বারে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একেই টিকা একনায়কতন্ত্র বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

শনিবারেও বেলজিয়ামে প্রতিবাদসভা হয়েছে। রোববারের সভা থেকে প্রথমে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের হাতে আতসবাজি ছিল। পরে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে আরো ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড বেড়েছে ৯৬ শতাংশ।

চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, ছাত্রদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদেরও টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে রোববার রাস্তায় নামে টিকাবিরোধী জনগণ। তাদের স্লোগান ছিল 'স্বাধীনতা চাই'। দ্রুত নতুন প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বস্তুত, প্রতিবাদের মুখে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রশাসন। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত কিছুদিন ধরে জার্মানির একাধিক শহরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। হ্যামবুর্গ থেকে ডুসেলডর্ফ-- হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে টিকার বিরোধিতা করছেন। টিকা পাসেরও বিরোধী তারা। করোনার জন্য সরকার যে সব বিধিনিষেধ চালু করেছে, তারও বিরোধী তারা। বস্তুত, জার্মানির রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদও হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে হয়েছে পুলিশকে।

অস্ট্রিয়াতেও রোববার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা ইউরোপ জুড়েই টিকাবিরোধী প্রতিবাদ চলছে। যার জেরে কোভিড আরো বাড়বে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিছিল

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ