Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আল্লাহই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

আল্লাহপাকই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী তাঁর এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করার সাধ্য কারো নেই। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) আর তিনিই নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। আর সেদিন তিনি বলবেন ‘হও’ তখন হয়ে যাবে। তাঁর কথাই যথার্থ। আর তাঁর জন্যই রয়েছে সে দিনের রাজত্ব, যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। তিনি অদৃশ্য ও উপস্থিত বিষয়ে পরিজ্ঞাত এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, অধিক অবহিত। (সূলা আনয়াম : আয়াত-৭৩)।

(খ) নিশ্চয় আল্লাহই বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে নির্গতকারী। তিনিই আল্লাহ। সুতরাং (সৎ পথ হতে) কোথায় তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে? (সূরা আনয়াম : আয়াত-৯৫)।

আল্লাহ পাকের একত্ববাদের সাক্ষী আল্লাহ নিজেই। এতদ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) আল্লাহপাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য), উপাস্য নেই, আর ফিরিশতাগণ ও জ্ঞানীগণও (এই সাক্ষ্য প্রদান করেন)। তিনি ন্যায়ত প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত-১৮)।

(খ) আর তোমাদের উপাস্য একক উপাস্য। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই। তিনি দয়াময় পরম দয়ালু। (সূরা বাকারাহ : আয়াত-১৬৩)। (গ) আর তোমাদের উপাস্য একক উপাস্য। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই। তিনি অতিদয়াময়, পরম ক্ষমাশীল। (সূরা বাকারাহ : আয়াত-১১০)।

আর দৃশ্য ও অদৃশ্য সকল রাজত্বের চাবিকাঠি আল্লাহপাকের কুদরতের হাতে নিহিত। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) বরকতময় তিনি যাঁর হাতে সর্বময় কর্র্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান। তিনি মরণ ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় দয়ালু। (সূরা মূলক : আয়াত-১-২)।

(খ) আর তাঁর কাছে রয়েছে অদৃশ্যের চাবিসমূহ, তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না এবং তিনি অবগত রয়েছেন স্থলে ও সমুদ্রে যা কিছু আছে। আর কোনো পাতা ঝরে না কিন্তু তিনি তা জানেন এবং জমিনের অন্ধকারে কোনো বীজ দানা পড়ে না, না কোনো ভিজা এবং না কোনো শুষ্ক কিছু, কিন্তু তা’ সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে। (সূরা আনয়াম : আয়াত-৫৯)।

(গ) তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই তিনিই শাহানশাহ, মহাপবিত্র ত্রæটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রশালী, মহা প্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা অংশীস্থাপন করে তা হতে তিনি পবিত্র, মহান। তিনি আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকারী, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, নভোমÐল ও ভ‚মÐলে যা কিছু আছে সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা হাশর : আয়াত-২২-২৪)।

 

 



 

Show all comments
  • বাহার বিন মুহিব ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
    আল্লাহ ছাড়া আনুগত্য পাওয়ার মতো আর কেউ নেই, তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র, শান্তির আধার, নিরাপত্তাদাতা, রক্ষক, সবার ওপর বিজয়ী, নিজ হুকুম প্রয়োগে পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং প্রবল পরাক্রমশালী। সবকিছুর ওপর ক্ষমতাশালী এবং ক্ষমতার নিরঙ্কুশ মালিক।
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন রশিদ চৌধুরী ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
    কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমান কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। ’ -সূরা আল ইমরান : ২৬
    Total Reply(0) Reply
  • কায়কোবাদ মিলন ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১০ এএম says : 0
    আল্লাহ যাকে চান সাম্রাজ্য দান করেন আবার যার কাছ থেকে চান সাম্রাজ্য কেড়ে নেন। যাকে চান সম্মান দান করেন, আবার যাকে চান অপমানিত করেন, সব কল্যাণ তার কাছে। পবিত্র কোরাআনে কারিমের এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন রাজ শক্তির উত্থান-পতন আর সাম্রাজ্যের পট-পরিবর্তন হয়ে থাকে একমাত্র আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায়।
    Total Reply(0) Reply
  • হুসাইন আহমেদ হেলাল ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১০ এএম says : 0
    রাষ্ট্র অর্জন এবং তা পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা শক্তিকেই অবলম্বন মনে করেন, তারা স্পষ্ট ভুলের মধ্যে আছেন। কারণ ক্ষমতার জন্য রক্তপাত ও অত্যাচারকে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীকে অবকাশ দেন (অর্থাৎ তাকে তৎক্ষণাৎ ধরেন না, ঢিল দেন, সুযোগ দেন যাতে সে আরও জুলুম করতে পারে)। এরপর তাকে এমনভাবে পাকড়াও করেন, সে আর ছুটে যেতে পারে না। এরপর নবী (সা.) আয়াত পাঠ করেন; অর্থাৎ এইরূপ তোমার প্রভুর পাকড়াও যে যখন তিনি অত্যাচারী গ্রামবাসীকে পাকড়াও করেন...। -বোখারি ও মুসলিম
    Total Reply(0) Reply
  • সাইমুম চট্টগ্রাম ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১১ এএম says : 0
    মোট কথা, সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন, যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন। মূলত আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। কেউ এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হন, অনেকেই পারেন না। ক্ষমতার এই পালাবদলের মাঝে যারা বুদ্ধিমান, তাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abu Juel ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৪৫ এএম says : 0
    Very good lesson
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:৪৮ পিএম says : 0
    If আল্লাহই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী then why our country is ruled by Kafir Law??????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন